ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি নেতারা আত্মসমর্পণ করেছেন বি. চৌধুরী

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

  বিএনপি নেতারা আত্মসমর্পণ করেছেন বি. চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিকল্পধারা প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের প্রথম সমাবেশে বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানের নাম না নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। শুক্রবার বিকল্প যুব ধারার বিশেষ কাউন্সিলে তিনি বলেন, সিলেটের জনসভায় ৯৮ ভাগ মানুষ ছিল বিএনপির, বাকি দুইভাগ অন্যদের। সেই সমাবেশে স্বাভাবিক কারণেই শ্রদ্ধার সঙ্গে অন্য দলের নেতারা বঙ্গবন্ধুর নাম স্মরণ করেছেন সত্তর থেকে আশিভাগ। বিএনপি নেতারা জিয়ার নামটি নেননি। কী মনে হয়- তারা কী আত্মসমর্পণ করেছেন? কার কাছে, কেন? এ দুটি প্রশ্ন জনগণের মনে থেকে যাবে। যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নও বাস্তবায়ন চাই। মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরে বাংলা ফজলুল হকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। আমরা উন্নয়ন চাই, গণতন্ত্রের পূর্ণ বিকাশ চাই। ড. কামাল চুক্তি ভঙ্গ করেছেন উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, আমরা ১৩ অক্টোবর তার দাওয়াতে বাসায় গিয়েছিলাম, কিন্তু তিনি বাসায় ছিলেন না। এমনকি তার কোন লোকও বাসায় ছিল না, তার ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তিনি যেভাবে চুক্তি ভঙ্গ করলেন, তাতে আমরা আঘাত পেয়েছি। তিনি বলেন, আমরা অসত্য, ভ্রান্তির সঙ্গে কোন চুক্তি করি না। আমরা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে নাই একথা উল্লেখ করে বি. চৌধুরী বলেন, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে নাই বলেই জোট ছেড়ে অনেকে বেরিয়ে এসেছে। আমরা জিয়াউর রহমানের রাজনীতির পক্ষে লড়াই করব। তার রাজনীতির উত্তরাধিকার আমরা। উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করব। সেই উন্নয়নের পাশাপাশি গণতন্ত্রও থাকবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এখনই বাতিলের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, সাহসের সঙ্গে অবিলম্বে এই আইন বন্ধ করুন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘আলোচনা ছাড়া পৃথিবীর কোথাও সমাধান হয় না। আপনার কাছে দাবি করছি, আপনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, এটাই সবচেয়ে বড়। আপনি উদারচিত্তে এগিয়ে আসেন। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে সব দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করুন। তিনি গণগ্রেফতার বন্ধের আহ্বান জানান। বিএনপির সঙ্গে ঐক্য না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বি. চৌধুরী বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলেছিলাম আপনারা ১৭৫ আসন নিন, বাকি সব দলের জন্য ১২৫। আমি তো বলিনি বিকল্প ধারাকে ১২৫ আসন দিতে হবে। এই ভারসাম্য যারা অস্বীকার করে, তাদের সঙ্গে কীসের ঐক্য? আমরা ভারসাম্যের রাজনীতি চাই। ২০ দলীয় জোট ছেড়ে আসা ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে ভারসাম্যের রাজনীতি শুরু করেছেন বি. চৌধুরী। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে একটি দল। যারা জিয়ার দলকেও ধ্বংস করতে চায়। শমসের মবিনের পর অনুষ্ঠানে কথা বলেন বিকল্প ধারায় সদ্য যোগদানকারী সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সারোয়ার মিলন, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা, বিএলডিপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, লেবার পার্টি একাংশের মহাসচিব হামদুল্লাহ মেহেদি প্রমুখ। সকালের অধিবেশনে বিকল্প শ্রমজীবীধারার কাউন্সিলে আইনুল হককে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল হক সুমনকে কওে ৮১ সদস্যের কমিটি গঠিত হয়েছে। বিকেলে কাউন্সিলে সভাপতি হিসেবে অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম মোস্তফা সারোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন।
×