ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঝিনাইদহে ভেটেরিনারি কলেজ ভার্সিটির অনুষদে রূপান্তর দাবি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৩১ জুলাই ২০১৫

ঝিনাইদহে ভেটেরিনারি কলেজ ভার্সিটির অনুষদে রূপান্তর দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ৩০ জুলাই ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে ঝিনাইদহ সরকারী ভেটেরিনারী কলেজের শিক্ষার্থীরা গত দু’দিন ধরে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করে আসছে। ভেটেরিনারী কলেজটি বর্তমানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। কিন্তু কলেজটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আজও কোন স্থায়ী মানসম্পন্ন পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগ করা হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভেটেরিনারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিশুক মনি জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কলেজটিতে দুই সেশনে মোট ১২০ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৩-১৪ সেশনে ৬০ জন ও ২০১৪-১৫ সেশনে ৬০ জন। ডেপুটেশনে নামমাত্র কয়েকজন শিক্ষক এখানে আছেন। অথচ ভর্তির সময় বলা হয়েছিল এ কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সমমানের যোগ্যতা অর্জনসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবে। মাত্র ১২০ শিক্ষার্থী নিয়ে কলেজটিকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেয়াও কঠিন। সে কারণে ভেটেরিনারী কলেজটি যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু কলেজটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আজও পর্যন্ত কোন স্থায়ী মানসম্পন্ন পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং কর্মচারী নিয়োগ করা হয়নি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় সমমানের সব সুযোগ-সুবিধা পবে। কিন্ত প্রথম ব্যাচের রেজিস্ট্রেশন করানো ছিল চট্টগ্রাম ভেটেরিনারী এ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের অধিভুক্তি বাতিলের পর প্রথম ব্যাচের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। ফলে তাদের পুনরায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হলে তারা রাজি না হয়ে আন্দোলন করছে। তাদের আন্দোলনের কোন যৌক্তিকতা নেই। তিনি আরও জানান, আমরা খুব দ্রুত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদে পরিণত হব। এ ছাড়া দ্বিতীয় ব্যাচের পুনঃরেজিষ্ট্রেশন করলে তারাও বিশ্ববিদ্যালয় সমমানের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পবে। আসামিদের হুমকিতে গোদাগাড়ীর এক পরিবার দিশেহারা স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গোদাগাড়ী উপজেলার দেউপাড়া কাকলবাড়িয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলা, লটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ এখনও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। আসামিরা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এতে ভীত সন্ত্রস্ত্র ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী আজিবুর রহমান ও তার পরিবার। হামলা ও লুটপাটের শিকার আজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, গত ১২ জুলাই ঘটনার পর তারা প্রথমে থানায় মামলা করতে গিয়েও ফিরে আসেন। পুলিশ তাদের মামলা গ্রহণ করেনি। পরে আদালতে মামলা করা হলে তার তদন্ত পড়ে থানা পুলিশের হাতে। তবে প্রভাবশালী পক্ষের হয়ে থানা পুলিশ রহস্যজনক কারণে আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে তারা (আসামিরা) বাইরে থেকে অব্যাহতভাবে পুরো পরিবারকে হত্যাসহ উচ্ছেদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এতে তারা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে বারবার পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গোদাগাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছে।
×