ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কবিতা

দাদুবাড়ি জাদুবাড়ি

আলমগীর কবির

প্রকাশিত: ১৯:২৮, ১৩ জুন ২০২৫

দাদুবাড়ি জাদুবাড়ি

দাদুবাড়ি জাদুবাড়ি 

আলমগীর কবির 

বাবা মায়ের সাথে আমি 
কই এসেছি? পাবনাতে,
নেই ইশকুল হোমওয়ার্ক 
নেই কিছু আজ ভাবনাতে!

পাবনাতে কী? দাদুবাড়ি।
আমরা বলি জাদুবাড়ি!

জাম-জামরুল-আম-আনারস
ফল কত না পেকেছে, 
গাছে গাছে দুলছে লিচু
রং কত না মেখেছে! 

সবুজ ঘেরা জাদুবাড়ি
ইচ্ছে করে থেকে যাই,
মনের খাতার পাতায় পাতায় 
খুশির ছবি এঁকে যাই।


ঈদের পরে

শাহজালাল সুজন

ঈদের পরে খোকন সোনা 
যাবে মামা বাড়ি,
মায়ের কাছে বায়না ধরে
গাল ফুলিয়ে আড়ি।

ঈদের চাঁদটা হেলেদুলে 
নীলাকাশে চায়,
তাই তো খোকন সারা বাড়ি
আনন্দে গান গায়।


বলো কোথায় যাই রে

শাহীন খান 

গনগনে রোদ ঘামছে শরীর 
বাতাস কোথায় পাই রে
ইচ্ছে করে যাই ছুটে যাই
ঘরটা ছেড়ে বাইরে। 

পাখপাখালির গান শুনি
সেথায় গিয়ে ঘর বুনি
ফুল-ফসলের সাথে করি
নিত্য তাই রে নাই রে। 

দুপুর হলেই ঘুঘুর সুর
সুরটা লাগে সুমধুর
খেয়েদেয়ে জিরাই আমি
এবং সুরে গাই রে। 

প্রজাপতি আর অলি
গল্প আমায় যাক বলি
এমন দারুণ ক্ষণটা ছেড়ে
বলো কোথায় যাই রে।


জোড়া পাখির বাসা

আব্দুস সাত্তার সুমন 

বাবুই পাখি তৈরি করে
জোড়া পাখির বাসা,
নিজের মত সাজায় পাখি
দেখতে দারুণ খাসা।

লতাপাতা জোগাড় করে 
খড়কুটো আনে!
তৈরি করে উঁচু গাছে 
থাকে আপন মনে।

দরজা করে দুইটা করে
একটি রবে ফাঁকা,
অন্যটাতে বসত করে 
পর্দা দিয়ে ডাকা।

মিলেমিশে থাকে পাখি 
কিচিরমিচির গানে,
যায় না পাখি ঝড় তুফানে
ভালোবাসার টানে।


ব্যাঙের শাদি

আশতাব হোসেন 

দিঘির পাড়ে কদম তলে
হচ্ছে ব্যাঙের শাদি, 
আসরটিতে গীত গাইছে
ধেড়ে ব্যাঙের দাদি। 

ঢোলক বাজায় লাউয়ের খোলে
কুনো ব্যাঙের দাদা, 
ইঁদুর বধূ বেটে দিচ্ছে 
পিঁয়াজ রসুন আদা। 

প্যানেল

×