
-
বিজয় এক্সপ্রেস
আইউব সৈয়দ
(প্রাবন্ধিক রাজীব সরকার, স্বজনেষু )
গৌরিপুর ইস্টিশনে পৌঁছলাম; ঘিরে ধরেছে সমসাময়িক
অনুভবগুচ্ছের শিল্পআত্মার জ্বর
আরও গতিবিধির সুধা জাগানোর বইয়ের জ্বর
তার মধ্যে পর্যবেক্ষণে প্রবাহিত, বইমেলার জ্বরই মনে হয় বেশি।
গতিবিধির পর্যবেক্ষণ জ্বর নয়, ট্রেনে জমে থাকা কিছু
আড়ালভাঙা জ্বর যেন প্ল্যাটফর্মে নেমে এদিক ওদিক
হেঁটে বেড়াচ্ছে
ফাল্গুনের বিকাল গায়ে মাখছে জবর আহা !
একি এ সুন্দর সরলতা- গড়িয়ে যাবে হয়তো বইমেলার
চারটি বৈঠকে।
অতঃপর কাল বিলম্ব না করে-
আস্থার বিস্ময় মেনে রাজীব সরকারের শিল্পময় জ্বরকে সহযাত্রী করে
হরিশংকর জলদাসসহ ময়মনসিংহের দিকে ছুটছি .....
** আধেক দরোজায় রোদ
শাহীন রেজা
আধেক দরোজায় দাঁড়িয়ে আছে রোদ
আমি পুড়ছি
কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে দেহ
ঘাসের শূন্যতায় হামাগুড়ি দিচ্ছে দিন
ছায়ার করোটিতে মৃদঙ্গ সানাই
আর আমার প্রিয় নক্ষত্র দুটো
মমতার পাখা মেলে আধোমৃত্যুর পিছু
মৌনতায় দাঁড়িয়ে রোদ আধেক দরোজায়;
দাঁড়িয়ে আমার মা-
সব মেয়েরাই একদিন মা হয়
আধেক আত্মায় আঁকে চোখ
কি নিবিড় পাখিসব মায়াজলসায়-
সব নারীই কি রোদের প্রেমিকা?
** প্রেমিক মন কিসে আটকায়
সোমা মুৎসুদ্দী
প্রেমিক মন কিসে আটকায়, হয়তো লাবণ্য প্রভায়
আটকায় সেই ঠোঁটে, যেই ঠোঁটে আগ্নেয়গিরির জলন্ত লাভা
প্রেমিক মন সেই ঠোঁটে জ্বলেপুড়ে
প্রেমিকার স্বচ্ছ শরীরে ভাসায় অজস্র কামনার নৌকা।
প্রেমিকার খোঁপায় গুঁজে দেয় কবিতার ফুল
রূপবতী শরতে কাশফুলের স্নিগ্ধ আমেজে রাখে হাতে হাত,
অবশেষে মিলনের ক্ষণে শিউলির বরণ ডালায়
সাজিয়ে দেয় লাবণ্য প্রভাকে
হৃদয়ের খুব কাছে নিয়ে হয় ভালোবাসার গভীর খুনশুটি।
** নীলিমা...!!
এরশাদুল বারী
নীলিমা তুমি বলেছিলে
সারাজীবন ওই আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা দেবে।
বলেছিলে আমায়
আকাশ যেমন ভালোবাসে, মেঘেদের লুটিয়ে পরাকে...! যেমন ভালোবাসে,
আকাশের গায়ে তারাদের আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়াকে...!
ঠিক তেমনই তোমাকে যখন দেখি,
নীল শাড়ি সাদা ব্লাউজ পরিহিত,
খালি পায়ে,
শিশির ভেজা ঘাসের ওপর দিয়ে এগিয়ে আসতে...!
এই তো সে দিনই এসেছিলে!
ধির পায় চুপি চুপি নীরবে গোপনে বলছিলে
‘আসতে পারি তোমার কাছে?’
খালি পায় এগিয়ে এলে, আমায় জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গনে আবদ্ধ হলে!
তোমার ওই শিশির ভেঁজা ঠোঁটে আমাকে চুম্বন করলে!
আমার সারা শরীর শিহরিত অনুভব করেছিল সেদিন!
যেনো ওই নীল আকাশ যেমন
মেঘকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করে রেখেছে,
ঠিক তেমনিই আমাকে তুমি জড়িয়ে ধরে রেখেছো!
এভাবেই আমাকে আজীবন তোমার ওই দুই বাহু দিয়ে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে
শিরায়- উপশিরায় আন্দোলন তুলে জড়িয়ে থেকো আমায়!
থাকতে চাই নীলিমা তোমারই মাঝে!
মিলেমিশে একাকার হয়ে কাটাতে চাই সারাটি জীবন! নীলিমা...হবে না আমার।
** সম্পর্ক
এমরান কবির
রজনী চলে যাবার পর বুঝেছিলাম.
রজনী ছিল প্রেম
রজনী যখন আসেনি আমার জীবনে
তখনও বুঝেছিলাম
রজনী ছিল প্রেম
রজনী এলো
লেপ্টে থাকলো
দেয়ালে মাটি লেপার মতো
বুঝলাম
পৃথিবীর সব জল
কতটা নিষ্ফল