-
দুঃখ দিলে মনে রাখবো ঠিকই
তোমাকে একবিন্দু জানাবো না
হাসিমুখে ফুল হাতে
রোজই দাঁড়িয়ে যাবো
কাঁটার মিছিলে!
অপ্রাপ্তির শোকে তরুণেরা নিদ্রাহীন
নির্ঘুম পাপে পুড়ছে শরীর
আহ! ওরাও জেনে গেছে
চাঁদও ছোঁয়া যায় অ্যালকোহলিক ঘ্রাণে!
তোমার বেদনা মগজের শিহরণে
নিশ্চুপ জমে থাকবে
চিরকাল
শতজন্ম...
জানবেও না।
** মুক্তি
শেলী সেনগুপ্তা
যতটুকু নির্মোহ হওয়া কথা ছিলো
ঠিক ততটা হতে পারিনি,
লুকানো বৃষ্টিদিন
মলাটে রাখা ময়ূরপালক
পাথরে লেখা দুটি নাম-
পেছন থেকে টেনে রেখেছিলো,
আমার নির্মোহ হওয়া হয়নি,
আধখোলা জানালা
রিং রিং ধোঁয়া
কাচের গ্লাসে জমাট কুয়াশা
আমাকে ওষ্ঠমুখী করেছিলো
আমার নির্মোহ হওয়া হয়নি,
অরণ্যের দাবানল
চুরমার তাড়না
রোদের ওঠানামা
আমাকে তুমিমুখীও করেছিলো
আমার নির্মোহ হওয়া হয়নি...
স্মৃতির নান্দনিকতায় মূর্ত হওয়ার আগেই
স্পর্শভ্রমণের নামে
জাগতিক বর্ষায়
আমাকে নির্মোহ করে দিলে,
আমার আধ খোলা জানালায় বৃষ্টি ঝরে না
পেখন তোলে না ময়ূর,
ঘোলাটে অন্ধকার জট খোলার আগেই
নির্মোহ করে দিলে,
বিষণœ চিবুকের রঙ বিবর্ণ হতে হতে
আমি নির্মোহ হলাম...
** বিড়ি খোর মাছেরা
রহমান মাজিদ
এ্যাকুরিয়ামের ভিতরে দুটি মাছ
ব্রয়লার মুরগির মতো একটি শাদা
অপরটি কানাকুয়োর পেটের মতো কালো
লেজ নাড়ে, চোয়াল নাড়ে-
খাবি খায় সারাদিন
বিকেল হলে বিড়ি খায় শ্বেতাঙ্গ
কালোটার মুখে ছোঁড়ে বিষাক্ত নিকোটিন।