ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সৈয়দ মুজতবা আলী আজও অনিঃশেষ

তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশিত: ০১:২৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সৈয়দ মুজতবা আলী আজও অনিঃশেষ

‘অনুকরণীয় রচনাসাহিত্যিক’ ড. সৈয়দ মুজতবা আলী

অনুকরণীয় রচনাসাহিত্যিকড. সৈয়দ মুজতবা আলী অসাধারণ প্রতিভাধর এক প-িত ব্যক্তিতিনি ইংরেজী, আরবী, ফারসী, রুশ, জার্মান, সংস্কৃতসহ ২২টি ভাষা জানতেনবহু ভাষাবিদ অগাধ পা-িত্যের অধিকারী সৈয়দ মুজতবা আলীর পড়াশোনার বিস্তৃতিও ছিল বিশালতিনি ভাষা, ধর্ম, দর্শন, সমাজতত্ত্ব সবকিছুতেই আগ্রহী ছিলেনলেখাপড়া করেছিলেন বিশ্বভারতী, আলীগড়, জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় ও কায়রোর আল্ আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার অগাধ পাণ্ডিত্যের বিষয়ে অবগত হয়ে হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি ৩০ বছর পরিশ্রম করে বঙ্গীয় শব্দকোষ অভিধানটি লিখেছিলেন, একবার বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর বঙ্গীয় শব্দকোষের সংস্করণ হলে মুজতবার সাহায্য যেন নেয়া হয়

মুজতবার পা-িত্য ও লেখনীর বিষয়ে অবগত ভাষা-আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭) অনুযোগ করে বলতেন, ‘মুজতবা আলী তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে প্রচ- গবেষক হতে পারতেন, তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে সার্থক অন্বেষণ চালাতে পারতেন, ভারতীয় ইতিহাসের অনুদঘাটিত দিক উন্মোচন করতে পারতেন, কিন্তু কিছুই করেননিশুধু ব্যঙ্গ-রসিকতায় নির্বাসন নিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করলেনআসলে কি সৈয়দ মুজতবা আলী নিঃশেষ হয়ে গিয়েছিলেন? তার জন্মের শতবর্ষ পেরিয়ে আরও পথ চলার পরও এ প্রশ্ন অনেকের মনে আকুলিবিকুলি করতেই পারে! 

সৈয়দ মুজতবা আলী সম্পর্কে এ দৈন্যের কারণ তার সম্পর্কে লেখালেখি হয়েছে খুবই কমতিনি নিজেও তার সাহিত্য জীবন সম্পর্কে কোন কৌতূহল পছন্দ করতেন নাজীবদ্দশায় তার কোন বই তার কাছে চাইলে তিনি বেশ বিরক্ত হতেনতিনি বলতেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে কেউ আমার সম্পর্কে কিছু লেখুক- সেটা আমি চাই নাতবে, আমার মৃত্যুর পর যে যত খুশি লেখুক, তাতে আমার কিছু যায় আসে না

তার সম্পর্কে লিখতে গিয়ে তারই আত্মীয় সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম লেখেন, ‘তার বিশাল পা-িত্যকে তিনি কাঁধে বা আস্তিনে বয়ে নিয়ে বেড়াতেন না, বস্তুত তিনি যে বহু ভাষাবিদ একজন মৌলিক চিন্তাবিদ ও লেখক- এ রকম উল্লেখও তাকে বিব্রত করততাকে আমার আপনভোলা মানুষ মনে হতো এবং খুব হাসিখুশি বাইরেরটার আড়ালে আত্মমগ্ন একজন মানুষআমার এ রকম একটি ধারণা হয়েছিল, তিনি নিজের মনে অনেক ধ্যান করতেন এবং তার ধ্যানের বিষয়বস্তু ছিল জগত, ক্ল্যাসিক সাহিত্য আর জগতের সঙ্গে এই সাহিত্য এবং জগত ও সাহিত্যের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক

কথা বলতে বলতে অনেক সময় তিনি হঠা প্রসঙ্গ বদলাতেন এবং বদলে এ রকম একটা-দুটো বিষয়ের অবতারণা করতেন’ (সৈয়দ মুজতবা আলী : শুধু রম্য লেখক নন- সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাহিত্য সাময়িকী, দৈনিক প্রথম আলো, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০০৪, পৃষ্ঠা- ২১)

অনেকটা জেদি ও আত্মপ্রচারবিমুখ এ লেখক বহু ভাষাবিদ একজন মৌলিক প্রতিভাধর ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আলোর পাদপ্রদীপে আসেন বেশ বিলম্বেতিনি তার সৃষ্টিশীল জীবনে অনেক প্রবন্ধ, অসাধারণ কিছু ছোটগল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনী লেখেনএসব লেখনী তাকে জনপ্রিয় করে তোলেতবে তার প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত উঁচুমানের হাস্যরসসমৃদ্ধ রম্যরচনা তাকে রম্য লেখকহিসেবেই পাঠকনন্দিত করে তোলে

তার পাঠকপ্রিয়তার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে একুশের বইমেলা-২০০৫ এ মুজতবার জন্মশতবর্ষ শ্রদ্ধাঞ্জলিতে গবেষক ড. নূরুর রহমান খান বলেন, ‘এতে বিন্দুমাত্র দ্বিধার অবকাশ নেই যে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ বাঙালী কাজী নজরুল এবং সৈয়দ মুজতবা আলীকে যেভাবে বরণ করেছেন, তেমনটি অপর কোন বাঙালী কবি-সাহিত্যিকের ভাগ্যে জোটেনিঅবশ্য রবীন্দ্রনাথকে বাদ দিয়ে

সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রথম রচনা নেড়েনামের একটি গল্প১৯/২০ বছর বয়সে লিখিত এ গল্পটি বিশ্বভারতী দেয়াল পত্রিকায় ১৯২৩-২৪ সালে প্রকাশিত হয়পরবর্তীতে এটি সংকলিত হয়ে ছাপার হরফে আসে ১৯৬৭ সালে পছন্দসইশীর্ষক গ্রন্থেতার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ দেশে বিদেশেআফগানিস্তানের বিচিত্র অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি এ গ্রন্থটি রচনা করেন

১৩৫৬ বঙ্গাব্দের বৈশাখে নিউ এজ পাবলিশার্সবইটি প্রকাশ করলে তিনি লেখক হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেনজীবনের প্রথম বই রচনার পটভূমি জানতে গিয়ে তার জীবনসায়াহ্নে তার একান্ত সহচর গোলাম মোস্তাকিমকে জানান, বইটি তিনি তার বড় ভাই সৈয়দ মোস্তফা আলী সাহেবের বড় মেয়ে জন্নাতবাসিনী জাহানারার স্মরণেসর্গ করেছিলেন এবং তার অনুপ্রেরণায় তিনি বইটি লিখতে উসাহী হনএ প্রসঙ্গে মুজতবা আলী বলেন, ‘আমি জার্মানি থেকে ডক্টরেট করে দেশে ফেরার পর কিছুদিন কলকাতায় ও মৌলভীবাজারে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছিলাম

তারপর আমি ডাঃ পণ্ডিত অজিত কুমার বসুর সঙ্গে ইউরোপ চলে যাইফেরার পথে কায়রোতে আরবী শেখার জন্য এক বছর ছিলামআমি যখন ডক্টরেট করলাম তখন বাঙালী মুসলমানদের মধ্যে ডক্টরেটের সংখ্যা হাতেগোনা যেততা ছাড়া আমি বেশ কয়েকটি বিদেশী ভাষা শিখেছিলামতখন আমি বিদেশী সাহিত্যই বেশি পড়তাম

অগাধ পা-িত্যের অধিকারী হওয়ায় অন্য লেখকের কোন বইয়ে দুর্বলতা দেখলে তিনি অনেক সময় মন্তব্য করতেনএ ধরনের মন্তব্য ভাতিজী জাহানারার সামনে করলে সে কি বলত তা মুজতবার মুখে শুনুন- তিনি গোলাম মুস্তাকিমকে আরও বলেছিলেন, ‘জাহানারার সামনে কোন বাংলা বই সম্পর্কে তাচ্ছিল্য মন্তব্য করলে পরে জাহানারা বলত, ‘ছোট চাচা যদি এতটা জানে তাহলে নিজে একটা বই লিখলেই পারেন

সাহিত্যের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে তার (জাহানারার) সঙ্গে আমার আলাপ হতোতার সঙ্গে তর্ক করে আমি কখনোই জিততে পারিনি’.... ‘১৯৪৬ সালআমি তখন ব্যাঙ্গালোরেপকেটে পাঁচ হাজার টাকাবুঝতেই পারছ, পাঁচ হাজার টাকা তখন অনেক টাকা ছিলথাকতাম সমুদ্রের পাড়ের এক হোটেলেহাতে অঢেল সময়।... তখনই আমি দেশে বিদেশেবইটা লেখা শুরু করিপ্রায় বছরখানেকের মতো আমি ব্যাঙ্গালোরে ছিলামঐ এক বছরের মধ্যে আমি বইটা লেখা শেষ করি।... তবে আমার বলতে কোন দ্বিধা কিংবা সঙ্কোচ নেই যে, ‘দেশে বিদেশেলেখার পেছনে জাহানারা আমাকে খুব প্রেরণা জুগিয়েছিল

আমি যখন ব্যাঙ্গালোরে সমুদ্রের পাড়ে হোটেলে বসে বইটা লিখছিলাম, তখন আমার কানে একটা কথা প্রায়ই বাজত, ‘ছোট চাচা যদি এতকিছু জানে, তাহলে একটা বই লিখলেই পারেনআমার মনের ভেতর একটা জিদ কাজ করছিলকাজেই জাহানারা বেঁচে থাকলে বইটা লিখেই আমি দেশে ছুটে গিয়ে তাকে বলতাম, ‘এই দেখ্, আমি একটা বই লিখেছিএবার তুই কি বলিসকিন্তু জাহানারার অকাল মৃত্যু আমাকে সে সুযোগ দিল না’ (সৈয়দ মুজতবা আলী : প্রসঙ্গ অপ্রসঙ্গ- গোলাম মোস্তাকিম, স্টুডেন্ট ওয়েজ, ঢাকাদ্বিতীয় মুদ্রণ, বৈশাখ ১৪০৯ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা-১১৪, ১১৫)তারপর একে একে প্রকাশিত হয় তার বিভিন্ন গ্রন্থ

সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ হলো- পঞ্চতন্ত্র (আষাঢ়, ১৩৫৯), চাচা কাহিনী (আষাঢ়, ১৩৫৯), ময়ূরকণ্ঠী (চৈত্র, ১৩৫৯), অবিশ্বাস্য (জ্যৈষ্ঠ, ১৩৬১), পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা (বৈশাখ, ১৩৬৩), জলে ডাঙ্গায় (মাঘ, ১৯৬৩), ধূপছায়া (পৌষ, ১৩৬৪), দ্বন্দ্বমধুর (বৈশাখ, ১৩৬৫), চতুরঙ্গ (ভাদ্র, ১৩৬৭), শবনম (১৩৬৭), শ্রেষ্ঠ গল্প- সংকলন গ্রন্থ (জ্যৈষ্ঠ, ১৩৬৯), ভবঘুরে ও অন্যান্য (জ্যৈষ্ঠ ১৩৬৯), বহু বিচিত্র- সংকলন গ্রন্থ (আষাঢ়, ১৩৬৯), শ্রেষ্ঠ রম্যরচনা- সংকলন গ্রন্থ (ভাদ্র, ১৩৬৯), টুনি মেম (চৈত্র, ১৩৭০), প্রেস- অনুবাদ (শ্রাবণ, ১৩৭২), বড় বাবু (ফাল্গুন, ১৩৭২), দু-হারা (চৈত্র, ১৩৭২), পঞ্চতন্ত্র- দ্বিতীয় পর্ব (আষাঢ়, ১৩৭৩), হাস্যমধুর- সংকলন গ্রন্থ (অগ্রহায়ণ, ১৩৭১), পছন্দসই- সংকলন গ্রন্থ (আশ্বিন, ১৩৭৪), রাজা উজির (বৈশাখ, ১৩৭৬), শহর ইয়ার (ভাদ্র, ১৩৭৬), হিটলার (১৩৭৭), কত না অশ্রুজল (বৈশাখ, ১৩৭৮), মুসাফির (অগ্রহায়ণ, ১৩৭৮)মৃত্যুর পর প্রকাশিত পরিবর্তনে অপরিবর্তনীয়’ (ফাল্গুন, ১৩৮২), ‘তুলনাহীনা’ (১৯৭৪ ইং)এসব গ্রন্থের গ্রহণযোগ্যতা ও সময়ে সময়ে আজও বিশেষ মুদ্রণ জানিয়ে দেয়, সৈয়দ মুজতবা আলী নিঃশেষিত হবার ননতিনি যুগ যুগ ধরে জিইয়ে থাকবেন তার অমর সৃষ্টি ও লেখনীর পাঠ ও বিস্তৃতির মাধ্যমে

অন্য অনেক সুষ্টিশীল মানুষের মতোই সৈয়দ মুজতবা আলী মদ-সূরার কল্পলোকে থাকতেই বেশি পছন্দ করতেন, যা তার সৃষ্টিমগ্নতাকে ব্যাহত করতএ ছাড়া লেখার ব্যাপারে ছিল তার এক ধরনের আলসেমিতাকে কাছ থেকে দেখা তার ভাগ্নি আসমা আব্বাসী সৈয়দ মুজতবা আলী : আমার মাতুলপ্রবন্ধে লেখেন, ‘তার আপাতগম্ভীর বাইরের মূর্তিকে ভয় না পেয়ে যিনি কাছে গেছেন, তিনিই জানেন কী অসামান্য খনির সন্ধান তিনি পেলেন।... পা-িত্য ও কৌতুক- এ দুয়ের গঙ্গা-যমুনা সংমিশ্রণ হয়েছিল তার মধ্যে

অথচ, লেখার বেলায় তার ছিল এক ধরনের আলসেমিযখন একা থাকতেন অধিকাংশ সময় পড়ার মধ্যে ডুবে থাকতেনতিনি নিজেই বলতেন, জানিস তো অর্থের খুব একটা প্রয়োজন না হলে আমি লেখি না’ (দৈনিক প্রথম আলো -সাহিত্য সাময়িকী, ৪ মার্চ, ২০০৫)এ কারণে তিনি যথেষ্ট সৃষ্টিশীল ও অগাধ পা-িত্যের অধিকারী হয়েও মানব জীবন সম্পর্কে গভীর উপলব্ধিজাত অনেক কিছু আমাদের দিয়ে যেতে হয়তো সময় করে নিতে পারেননি, যা তার একান্ত কাছের মানুষের নিকটও মর্মপীড়াদায়ক বটেকিন্তু তারপরও তার সাহিত্যে ব্যঙ্গ- রসিকতায় মানুষের প্রাত্যহিকতাকে তিনি যেভাবে সবাক করেছেন, পা-িত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতায় শব্দকে যেভাবে দাপটের সঙ্গে সাহিত্যে প্রবাহিত করেছেন, তা অতুলনীয়এ ক্ষেত্রে তিনি কালজয়ী

সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসানের কথায়, ‘বাংলা শব্দ ব্যবহারের বিচিত্র দ্যোতনায় মুজতবা আলী নিঃসন্দেহে এক অনন্য সমৃদ্ধমান ব্যক্তি’ (সতত স্বাগত- সৈয়দ আলী আহসান, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, প্রথম প্রকাশ- আগস্ট ১৯৮৩ ইং, পৃষ্ঠা- ১২০)বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক রম্যরচনাকার তথা রচনা-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন একজন সৃজনশীল অনন্য সাধারণ লেখকতার রচনায় বাকপটুতার সঙ্গে শিল্প সুষমার অপূর্ব সমন্বয় দীপ্তিমান, যা উঁচুমার্গের রসবোধে সিক্ত

সৈয়দ মুজতবা আলীর রম্যরচনাগুলো নিছক আনন্দদানের জন্য লিখিত হয়নিবহু দেশ ভ্রমণ, বিচিত্র শিক্ষাজীবন ও বর্ণময় পেশাজীবনের অবারিত অভিজ্ঞতাপ্রসূত অগাধ পা-িত্যের সুবাদে অর্জিত তাবত বিশ্বের উইট-হিউমার’-এর উপস্থিতি তার রচনায় দৃষ্ট হয়, যা নিছক অর্থহীন বিষয় নয়তার উইট ও হাস্যকৌতুকগুলো একটু অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে পড়লে বোঝা যায়, এর মাধ্যমে তিনি সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে আমাদের অস্তিত্বের মর্মমূলে প্রবেশ করে আমাদেরকে নতুন করে জাগাতে, ভাবাতে সচেষ্ট থেকেছেনতার গল্প-উপন্যাসগুলো হৃদয়কে নাড়া দেয়, আর প্রবন্ধগুলো তথ্যরসে ভরপুর জ্ঞানসমৃদ্ধ

সুসাহিত্যিক আবদুস শাকুরের মতে, ‘হাস্যরসের অফুরান এক ডেটা ব্যাংক মুজতবা, যেখানে পাঠক রসটির সকল ভ্যারাইটিই মজুদ পায়তার কাছে আছে পরশুরামের প্রসন্ন হাস্যরস, বঙ্কিমচন্দ্রের বিষন্ন হাস্যরস, ত্রৈলোক্যনাথের হৃদয়বৃত্তি, প্রমথ চৌধুরীর বুদ্ধিবৃত্তি- আর কি চাইআসলে সৈয়দ মুজতবা আলী নিঃশেষিত হবার নন১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া মুজতবার জন্মের শতবর্ষ অনেক আগে পেরুলেও মৃত্যু পরবর্তী আজও তিনি জেগে উঠছেন নতুন ব্যঞ্জনায়তিনি আজও আমাদের সামনে হাজির তার অনুপম সৃষ্টির পসরা নিয়েচিরঞ্জীব হোক মুজতবার সৃষ্টি

×