ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

যে ৫টি খাবার পুনরায় গরম করলে বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে

প্রকাশিত: ০০:০৯, ২৫ জুলাই ২০২৫

যে ৫টি খাবার পুনরায় গরম করলে বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

অনেক সময় আমরা রান্না করা খাবার ফ্রিজে রেখে দেই এবং পরে গরম করে খাই। এটি একদিকে যেমন খাবারের অপচয় রোধ করে, তেমনি সময়ও বাঁচায়। তবে কিছু খাবার আছে যা পুনরায় গরম করলে সেগুলোর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, এমনকি বিষাক্ত হয়ে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এখানে এমন ৫টি খাবার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো যা পুনরায় গরম করা উচিত নয়

 ভাত

ভাত সবচেয়ে সাধারণ খাবারগুলোর মধ্যে একটি, যা আমরা প্রায়শই পুনরায় গরম করে খাই। তবে, রান্না করা ভাত ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রেখে দিলে ব্যাসিলাস সেরিয়াস (Bacillus cereus) নামক ব্যাকটেরিয়ার স্পোর তৈরি হতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়াগুলো তাপ-প্রতিরোধী এবং পুনরায় গরম করলেও সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয় না। যখন আপনি এই ভাত আবার গরম করেন, তখন ব্যাকটেরিয়াগুলো দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে এবং বিষাক্ত টক্সিন উৎপন্ন করে, যা ডায়রিয়া ও বমির কারণ হতে পারে। তাই, রান্না করা ভাত দ্রুত ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন এবং একবারের বেশি গরম করবেন না।

প্রক্রিয়াজাত মাংস

হট ডগ, সসেজ, বেকন বা অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংসের পণ্যগুলোতে প্রায়শই নাইট্রেট বা নাইট্রাইট ব্যবহার করা হয়। সেলারি বা পালং শাকের মতো, এই উপাদানগুলোও পুনরায় গরম করলে ক্ষতিকর নাইট্রোসামাইনসে রূপান্তরিত হতে পারে। তাই, প্রক্রিয়াজাত মাংসের খাবারগুলোও পুনরায় গরম করা এড়িয়ে চলা উচিত।

সেলারি, পালং শাক ও বিট

এই সবজিগুলোতে নাইট্রেট থাকে। যখন এই সবজিগুলো রান্না করা হয় এবং তারপর পুনরায় গরম করা হয়, তখন নাইট্রেটগুলো নাইট্রাইট এবং পরবর্তীতে নাইট্রোসামাইনস-এ রূপান্তরিত হতে পারে। এই যৌগগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই, এই সবজিগুলো দিয়ে তৈরি স্যুপ বা অন্য কোনো খাবার পুনরায় গরম না করাই ভালো।

 মাশরুম

মাশরুম হজম করা এমনিতেই কিছুটা কঠিন হতে পারে, এবং এটি পুনরায় গরম করলে হজমের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। মাশরুমে থাকা প্রোটিনগুলো পুনরায় গরম করলে সেগুলোর রাসায়নিক গঠন পরিবর্তিত হতে পারে, যা পেট ব্যথা, ফোলাভাব এবং অন্যান্য হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। সর্বোত্তম উপায় হলো, মাশরুমের পদ তাজা অবস্থায় খাওয়া। যদি একান্তই গরম করতে হয়, তবে খুব কম তাপে এবং অল্প সময়ের জন্য গরম করুন।

ডিম

ডিম প্রোটিনে ভরপুর একটি খাবার। তবে সিদ্ধ বা রান্না করা ডিম (যেমন স্ক্র্যাম্বলড এগস বা ডিমের তরকারি) পুনরায় গরম করলে এর প্রোটিন গঠন পরিবর্তিত হতে পারে, যা হজমের সমস্যা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে উচ্চ তাপে গরম করলে এটি আরও ক্ষতিকর হতে পারে। ডিমযুক্ত খাবার তৈরি করলে চেষ্টা করুন একবারেই তাজা খেতে।

মনে রাখবেন: খাবার পুনরায় গরম করার সময় সবসময় নিশ্চিত করুন যে এটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ভালোভাবে গরম হয়েছে এবং কোনরকম অদ্ভুত গন্ধ বা রঙ পরিবর্তন হয়নি। তবে, উল্লিখিত খাবারগুলোর ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

সাব্বির

×