ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

রান্নাঘরের জিনিসেরও ‘এক্সপায়ারি ডেট’ আছে, কীভাবে বুঝবেন?

প্রকাশিত: ২৩:০০, ২৪ জুলাই ২০২৫

রান্নাঘরের জিনিসেরও ‘এক্সপায়ারি ডেট’ আছে, কীভাবে বুঝবেন?

ওষুধ বা খাবারের মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে তা খাওয়া যাবে না—এই সতর্কতায় আমরা বেশ সজাগ। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের রান্নাঘরের বাসন-কোসন, ছুরি-চপিং বোর্ড বা স্পঞ্জ—সেগুলোরও মেয়াদ থাকতে পারে, তা নিয়ে সচেতনতা অনেকেরই নেই। অথচ দীর্ঘদিন ব্যবহারে এসব সামগ্রী হয়ে উঠতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির উৎস।

স্বাস্থ্যসচেতনদের মতে, ওষুধ বা খাবারের মতোই রান্নাঘরের বাসনপত্রেরও ‘এক্সপায়ারি ডেট’ থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাসনের গায়ে তা না লেখা থাকলেও এগুলোর কার্যকারিতা এবং পরিচ্ছন্নতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। পুরনো হয়ে গেলে তৈরি হয় অদৃশ্য জীবাণুর আঁতুড়ঘর।

রন্ধনশিল্পী অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “রান্নার বাসন যেমন ননস্টিক প্যান বা চপিং বোর্ড দীর্ঘদিন ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে বিষাক্ত পদার্থ খাবারে মিশে যেতে পারে।” তিনি রান্নাঘরের কিছু অপরিহার্য উপকরণের মেয়াদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:


কোনটি কত দিন ব্যবহার করবেন?

🔹 ননস্টিক প্যান: ২–৫ বছরের মধ্যেই এর আস্তরণ উঠে যেতে শুরু করে। যেই না স্তর উঠতে শুরু করবে, সঙ্গে সঙ্গে বদলানো জরুরি।

🔹 চপিং বোর্ড (কাঠ বা প্লাস্টিক): ২–৩ বছর অন্তর বদল প্রয়োজন। সূক্ষ্ম দাগে জমে যায় ময়লা ও জীবাণু।

🔹 রান্নার স্পঞ্জ: ২–৪ সপ্তাহের বেশি ব্যবহার না করাই ভাল। বেশি দিন হলে দুর্গন্ধ হয় এবং তা হয়ে ওঠে ব্যাকটেরিয়ার আঁতুড়ঘর।

🔹 প্লাস্টিকের কৌটো: ১–৩ বছর অন্তর বদল প্রয়োজন। ব্যবহার ও সংরক্ষণের ধরন অনুযায়ী স্থায়িত্ব কমে।

🔹 ছুরি: ৫–১০ বছর পর্যন্ত ব্যবহারযোগ্য হলেও ধার কমে গেলে তা ঘষেও ঠিক না হলে বদল দিন।

🔹 গ্রেটার: ব্লেডের ধার কমে গেলে ৩–৪ বছর অন্তর বদল প্রয়োজন।

🔹 পিলার (খোসা ছাড়ানোর যন্ত্র): ১–২ বছর অন্তর বদলে নিন। হাতল আলগা বা ধার কমে গেলে আর ব্যবহারযোগ্য নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব উপকরণের মেয়াদ পার হওয়ার আগে নিয়মিত পরখ করা এবং সময়মতো পরিবর্তন না করলে তা খাবারের গুণমান নষ্ট করে এবং শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

তাই ওষুধ বা খাবারের মতোই রান্নাঘরের সামগ্রী বদলের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকা জরুরি। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে শুধু খাবার নয়, খাবার তৈরির পাত্রগুলোর দিকেও নজর দিন।

Mily

×