
ছবি:সংগৃহীত
মানসিক প্রশান্তি ও সুখী থাকার পেছনে একঝাঁক "হ্যাপি হরমোন" কাজ করে, যেগুলোর নিঃসরণ শরীরে বাড়ানো সম্ভব একেবারে ঘরোয়া উপায়েই। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এদের বলা হয় ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন—চারটি হরমোন, যারা আমাদের ভালো থাকার অনুভূতি গড়ে তোলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু নির্দিষ্ট খাদ্যদ্রব্যে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফান এই হরমোনগুলোর নিঃসরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেমন মুরগির মাংস, চিনাবাদাম, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, গাজর ও সবুজ শাকসবজি—এই খাবারগুলো ট্রিপটোফানে সমৃদ্ধ। ফলে এগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর ও মনে স্বস্তি আসে।
তবে শুধু খাবার নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দরকার ইতিবাচক মনোভাব। প্রিয়জনের সঙ্গে মানসম্মত সময় কাটানো, হাস্যোজ্জ্বল পরিবেশে থাকা, কাছের মানুষকে আলিঙ্গন করা—এসব কাজ অক্সিটোসিন নিঃসরণে সহায়তা করে, যা সম্পর্কের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, প্রতিদিন কিছুটা সময় ব্যায়ামে ব্যয় করতে। ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ, হাঁটাচলা বা হালকা যোগব্যায়াম শরীরে এন্ডোরফিন ও সেরোটোনিন বাড়াতে সাহায্য করে, যা মনকে রাখে চনমনে।
তাই যারা মানসিক চাপ কমাতে চান, তাদের জন্য প্রাকৃতিক উপায়েই সুখী থাকার পথ খোলা রয়েছে। একটুখানি সচেতনতা ও নিয়মিত চর্চাই এনে দিতে পারে জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন। আর হ্যাঁ, "জাদুর ঝাপ্পি" দিতেও ভুলবেন না—কারণ এক আলিঙ্গনেই বদলে যেতে পারে মন-মেজাজ!
মারিয়া