
ভারতের যেকোনো ‘আগ্রাসনের’ জবাবে পাকিস্তান এবার দেশটির গভীরে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এবার আমরা হামলা শুরু করবো ভারতের পূর্বাঞ্চল থেকে। ভারতকে বুঝতে হবে, তাদের যেকোনো জায়গায় আঘাত হানতে পারে পাকিস্তান।
গত মে মাসে চারদিনব্যাপী ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষের স্মৃতি তরতাজা থাকতেই এই হুঁশিয়ারি দিলো ইসলামাবাদ। ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর এই সংঘর্ষের সূচনা হয়। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছিল দিল্লি।
ভারতের তথ্য বিভ্রান্তি ও পূর্বাঞ্চল প্রসঙ্গ
পাকিস্তানের বক্তব্যের পর ভারতের কিছু মিডিয়া এবং সরকারি সূত্র থেকে ‘পূর্ব ভারতের’ প্রসঙ্গ তুলে বাংলাদেশকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়। তবে পাকিস্তান সরকার এই প্রচেষ্টাকে ‘উন্মাদ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছেন, সেনা মুখপাত্রের বক্তব্যে পূর্ব ভারত বলতে কলকাতা, জামশেদপুর, রাঁচি, রাউরকেলা, ভুবনেশ্বর, পাটনা প্রভৃতি অর্থনৈতিক ও শিল্পকেন্দ্রগুলোকে বোঝানো হয়েছে— যা ভারতের ভেতরে গভীর হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে। ভারত কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন চালালেই পাকিস্তান এই পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ভারতের এই অঞ্চলগুলোতে রয়েছে ভারী শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, বন্দর এবং আইটি হাব, যা দেশটির অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র।
পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেন, দেশটি শান্তিকামী রাষ্ট্র, যা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য কাজ করছে। তবে, তারা সতর্ক করেছেন, ‘শান্তি কামনা মানে দুর্বলতা নয়। ভারত কোনো ধরনের উসকানি দিলে পাকিস্তান পূর্ণমাত্রায় জবাব দিতে প্রস্তুত।’
অসিম মুনিরের রাজনীতিতে আসার গুঞ্জন ভিত্তিহীন
সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান অসিম মুনিরের প্রেসিডেন্ট হওয়ার গুঞ্জন নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। এর জবাবে আইএসপিআর প্রধান বলেন, এই গুঞ্জন সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর। সেনাপ্রধানের এমন কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।
মিমিয়া