
ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিন গাজায় নতুন করে উন্মোচিত হচ্ছে একেকটি মানবিক বিপর্যয়। ইসরাইলি হামলায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা, আর সেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ছে হাজারো আহত মানুষের জীবন। উপত্যকাজুড়ে এখন শুধুই হাহাকার—রক্তপাত হচ্ছে, অথচ মিলছে না রক্ত। গাজায় রক্তের ব্যাগের তীব্র ঘাটতির কারণে অজস্র আহত মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, মৃত্যু যেন দাঁড়িয়ে আছে হাসপাতালের দোরগোড়ায়। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এগিয়ে এসেছে কিছুটা সহায়তা নিয়ে। সংস্থাটির পাঠানো একটি জরুরি চিকিৎসা সহায়তাবাহী ট্রাক সম্প্রতি গাজার ডেইর আল বালাহ শহরের একটি গুদামে পৌঁছেছে। ওই ট্রাকে প্রয়োজনীয় ঔষধ, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম এবং জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি ছিল, যার মাধ্যমে অন্তত কিছু আহত মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। গাজার স্বাস্থ্য অবকাঠামো সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়লেও জাতিসংঘের এই সংস্থা যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে মাঠপর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে জরুরি প্রয়োজনে অগ্রাধিকার দিয়ে জীবন রক্ষার চেষ্টা করছে তারা।
এদিকে, মানবিক সহায়তার এই প্রয়াসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সংযুক্ত আরব আমিরাতও। গাজাবাসীর জীবন রক্ষায় জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে কাজ করছে দেশটি। তাদের পাঠানো ১১টি চিকিৎসা সরঞ্জামবাহী ট্রাক ইতোমধ্যে বুঝে পেয়েছে জাতিসংঘের টিম। এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে শিশুদের জন্য অত্যাবশ্যক ঔষধ, অস্ত্রোপচারের যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য জরুরি চিকিৎসা উপকরণ। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা চায় এই সহায়তা অব্যাহত থাকুক। কারণ সামনে রয়েছে আরও কঠিন দিন। গাজা সীমান্তে বর্তমানে আরও কয়েক হাজার ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাবাহী ট্রাক অপেক্ষমাণ। কিন্তু এই ত্রাণ সামগ্রী ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছানোর প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। তারা বিভিন্ন অজুহাতে এসব ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, ফলে মানবিক সহায়তা জটিল হয়ে উঠছে আরও। এই মুহূর্তে ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন—অবাধে ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করা, যাতে রক্তে ভেসে যাওয়া গাজায় অন্তত কিছু প্রাণ বাঁচানো যায়।
শেখ ফরিদ