ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা, ৬ জন আহত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০২, ২৪ জুলাই ২০২৫

থাই-কাম্বোডিয়া সীমান্তে উত্তেজনা, ৬ জন আহত

ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা আবারও নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিতর্কিত এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গেল এলাকায় সংঘর্ষ, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ এবং কূটনৈতিক ঝামেলার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। মে মাসে শুরু হওয়া এই উত্তেজনা তখন তীব্র হয় যখন এক কাম্বোডিয়ান সেনা নিহত হন। উভয় দেশই পরস্পরকে দোষারোপ করছে এবং নিজেদের আত্মরক্ষার যুক্তি দিচ্ছে। যদিও সামরিক কর্মকর্তারা শান্তির বার্তা দিয়েছেন, তবুও সীমান্তে সৈন্য মোতায়েন বৃদ্ধি পেয়েছে।

জুলাইয়ের ১৬ তারিখে এক থাই সেনা ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে পা হারান। এরপর আরও একটি বিস্ফোরণে পাঁচ সেনা আহত হন, যাদের একজনও পা হারিয়েছেন। এসব ঘটনার ফলে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয় এবং কূটনীতিকদের প্রত্যাহার শুরু হয়। থাইল্যান্ড সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে কঠোর হয়, এমনকি বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি দেয় সীমান্তবর্তী কাম্বোডিয়ান শহরগুলোর জন্য। উত্তরে, কাম্বোডিয়া থাইল্যান্ড থেকে ফল ও সবজি আমদানি বন্ধ করে দেয় এবং থাই সিনেমা ও টিভি নাটক নিষিদ্ধ করে।

এই উত্তেজনার রাজনৈতিক প্রভাবও দেখা দিয়েছে থাইল্যান্ডে। জুলাই ১ তারিখে দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়, কারণ একটি ফোনকল ফাঁস হয় যেখানে তিনি থাই সেনাবাহিনীকে ‘বাড়াবাড়ি’ করার জন্য দোষ দেন এবং কাম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে এসব কথা বলেন। এই ফোনকলে বোঝা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, যা তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

শিনাওয়াত্রা থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী এবং একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য। তার নেতৃত্ব ও সামরিক সম্পর্ক এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গেল ঘিরে এই সীমান্ত দ্বন্দ্ব দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।

মুমু ২

×