
ছবি: সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করল তুরস্ক। মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমরাস্ত্র মেলা আইডিএফ ২৫-এ অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটি জনসম্মুখে প্রদর্শন করে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রকেটসান।
‘টাইফুন ব্লক ফোর’ নামের এই হাইপারসনিক মিসাইলটির ওজন ২,৩০০ কেজি এবং এটি সর্বোচ্চ ৮০০ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম। মাল্টিপারপাস এই ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে শত্রুপক্ষের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনাগুলোর উপর নির্ভুল হামলা চালানো যাবে বলে জানিয়েছে রকেটসান।
ক্ষেপণাস্ত্রের কারিগরি বিবরণ:
৬.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ‘টাইফুন ব্লক ফোর’ মিসাইলটি হলো তুরস্কের সমরভাণ্ডারে থাকা দীর্ঘ পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র টাইফুন-এরই সর্বাধুনিক সংস্করণ। নতুন এই সংস্করণে সংযুক্ত হয়েছে হাইপারসনিক গতি ও উচ্চ-নির্ভুলতা সম্পন্ন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে শত্রুর এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টারসহ বিভিন্ন কৌশলগত টার্গেটে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানার ক্ষমতা রাখে।
রকেটসানের ভাষ্যমতে, টাইফুন ব্লক ফোর বিভিন্ন ধরনের ওয়ারহেড বহন করতে পারে, ফলে একে বহুমুখী আক্রমণের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব।
কেন এই প্রযুক্তি উন্নয়ন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, তুরস্কের সমরভাণ্ডারে এতদিন হাইপারসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র না থাকায় আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিক থেকে দেশটি একটি পিছিয়ে পড়া অবস্থানে ছিল। বিশেষ করে ইসরায়েল-ঘনিষ্ঠ এলাকায় মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আঙ্কারা এখন দূরপাল্লার অত্যাধুনিক অস্ত্র সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঝুঁকছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
তুরস্ক ২০২৬ সাল থেকে এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘টাইফুন ব্লক ফোর’ তাদের জাতীয় সমরভাণ্ডারে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ তুরস্কের প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় একটি যুগান্তকারী সংযোজন হতে চলেছে।
শেখ ফরিদ