
ছবি: সংগৃহীত
ফিলিস্তিনে ভয়াবহ হামলা চালানোর পর এবার সিরিয়ার উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরাইল। গত কয়েকদিনে দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েদা ও তার আশপাশের এলাকায় চালানো লাগাতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৬০টি স্থাপনা।
১৭ জুলাই, সিরিয়া সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়, যখন গোলান মালভূমির মাজদাল সামস নামক একটি দ্রুজ শহরের কাছে ইসরাইলি সামরিক যান বহরকে দেখা যায় সিরিয়া সীমান্তে প্রবেশ করতে। পাঁচটি সামরিক যানবাহনের ওই বহরে ছিল চারটি হামগি, যেগুলো সৈন্য, রসদ, সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র বহনে ব্যবহৃত হয়।
এই সরঞ্জাম সরবরাহের মাত্র একদিন আগেই জেরুজালেম পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরাইলের চালানো বিমান হামলায় সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের একটি অংশেও বোমা বর্ষণ করেছে ইসরাইলি বাহিনী, যার ফলে সিরিয়ার কয়েক ডজন সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া, জেনারেল স্টাফ কমপ্লেক্স এবং কাসর আলশাবে ইসরাইলি বিমান হামলার টার্গেটে পরিণত হয়েছে। ১৬ জুলাই এই হামলার দায় স্বীকার করে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানায়, এটি ছিল একটি “সতর্কতামূলক” অভিযান।
ইসরাইলি সেনাদের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরাইলি বোমাবর্ষণের ফলে দামেস্কের আকাশ ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে।
এদিকে, সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা নিশ্চিত করেছে, দক্ষিণ-পশ্চিম দারা প্রদেশ এবং দামেস্কের কাতনা শহরেও ইসরাইলি বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
এই বর্বরোচিত হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। তারা সিরিয়ার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গোতেরেস সিরিয়ায় ইসরাইলের চলমান হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ইসরাইলকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলাগুলো সিরিয়ার পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এতে করে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
শেখ ফরিদ