
ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত এবং ইসরায়েলি সেনাদের গাজা থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার বিষয় নিয়ে মতপার্থক্য এখনো বিদ্যমান। তবুও, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন এক সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) টাইমস অব ইসরায়েল–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ৬০ দিনের প্রস্তাবিত অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময় ইসরায়েলি বাহিনী গাজার কোন কোন অংশ ছেড়ে যাবে—সেটা নিয়েই মূলত এখনো আলোচনা চলছে।
এর আগে ইসরায়েল সেনাদের সম্ভাব্য পিছু হটার একটি মানচিত্র (ম্যাপ) হামাসকে সরবরাহ করেছিল, যা হামাস প্রত্যাখ্যান করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপের মুখে ইসরায়েল একটি সংশোধিত ম্যাপ দেয়, তবে হামাস সেটিও প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ, সেই প্রস্তাবিত মানচিত্রেও দেখা গেছে—যুদ্ধবিরতির সময়ও গাজার বড় অংশ ইসরায়েলি সেনাদের দখলে থাকবে।
বিশেষ করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের কথিত মোরাগ করিডোর-এ ইসরায়েলি সেনাদের উপস্থিতি নিয়ে হামাস প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। কারণ, ধারণা করা হচ্ছে, এই করিডোরে অবস্থান করে ইসরায়েল একটি ‘মানবিক শহর’ নির্মাণ করতে চায়—যেখানে গাজার মানুষদের স্থানান্তর করা হবে এবং সেখান থেকে তাদের চলাচলে সীমাবদ্ধতা থাকবে।
মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো মনে করেছিল, নতুন ম্যাপ দেওয়ার পর আলোচনায় অগ্রগতি হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। হামাস পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা এমন কোনো যুদ্ধবিরতি মানবে না যেখানে গাজার উল্লেখযোগ্য অংশ ইসরায়েলের দখলে থাকবে।
টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, নতুন মানচিত্র অনুযায়ী ইসরায়েলি সেনারা গাজার কিছু অংশ থেকে সরে যাবে, কিন্তু পুরো গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অঞ্চল তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবুও, ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করে বলেন, এই অমিমাংসিত বিষয়গুলো দ্রুতই সমাধান করা সম্ভব এবং যুদ্ধবিরতির চুক্তি “আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাক্ষরিত হতে পারে”। তবে এর বিপরীতে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা আগের দিন জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হতে “কয়েক সপ্তাহ” সময় লেগে যেতে পারে।
দুই পক্ষের অবস্থানে এখনো ফারাক থাকলেও, চলমান দফায় দফায় আলোচনায় এক ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফারুক