ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কিভাবে ইসরায়েলের আয়রন ডোম ভেদ করে আঘাত হানলো প্রতিরক্ষা দপ্তরে, ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল

প্রকাশিত: ২০:৩৩, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৮, ১৪ জুন ২০২৫

ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কিভাবে ইসরায়েলের আয়রন ডোম ভেদ করে আঘাত হানলো প্রতিরক্ষা দপ্তরে, ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল

ছবি:সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা এখন আরও জোরাল। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা শুক্রবার রাতে এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায়, যা বহু বছরেও দেখা যায়নি।

তেল আভিভের আকাশে আতঙ্কের চেহারা নেয় এক মুহূর্তে, যখন ইরানের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের কঠোর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’-এর চোখ এড়িয়ে সোজা আঘাত হানে প্রতিরক্ষা সদর দফতরের কাছে।

কী দেখা গেছে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাতের আকাশে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার চেষ্টা করছে ইসরায়েলের আয়রন ডোম। কিন্তু একটি ক্ষেপণাস্ত্র সেটি ভেদ করে আছড়ে পড়ে তেল আভিভের কিরিয়া এলাকার কাছে, যেখানে অবস্থিত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) সদর দফতর। মুহূর্তের মধ্যে আকাশ আলোয় ঝলসে ওঠে, তারপর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ।

কীভাবে শুরু এই সংঘাত?
শুক্রবার সকালে ইসরায়েল ইরানে দুটি “প্রত্যুত্তরাত্মক” বিমান হামলা চালায়, লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনা ও সামরিক ঘাঁটি। দিনভর ইরানে ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় তারা।

এর পাল্টা জবাবেই শুক্রবার রাতভর ইরান ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের দিকে। তেল আভিভ ও জেরুজালেমের আকাশে সাইরেন বেজে ওঠে, লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে দৌড়ে যায়।

ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, “আমরা জানতাম পাল্টা আক্রমণ আসবে, এবং আমরা প্রস্তুত।”
IDF-এর আন্তর্জাতিক মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি আরও বলেন, “এই যুদ্ধের জন্য একমাত্র দায়ী ইরান। ওরা শুধু পরমাণু অস্ত্র চায় না, আমাদের মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চায়।”

তাঁর দাবি, ইসরায়েল “নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী টার্গেটে” হামলা চালিয়েছে, কিন্তু ইরান “বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে অন্ধভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে”।

 ইরানের কড়া হুঁশিয়ারি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই একটানা কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, “ইসরায়েল একটি মারাত্মক ভুল করেছে। এই ভুল তাদের শেষ ডেকে আনবে। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যেতে দেব না।”

তিনি জানান, “আমাদের সেনাবাহিনী তৈরি। গোটা দেশ তাদের পাশে আছে।”

কী হতে পারে পরবর্তী পদক্ষেপ?
এই সংঘাত থামবে, না কি আরও বড় কিছু আসছে — এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে সারা বিশ্বের কূটনৈতিক মহলে।

তথ্যসূত্রঃ এন্ডিটিভি


 

মারিয়া

×