ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

নবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু লাবিব হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

বিপ্লব ঘোষ, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা)।

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ৩১ জুলাই ২০২৫

নবাবগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু লাবিব হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকার নবাবগঞ্জের চাঞ্চল্যকর শিশু লাবিব পত্তনদার (৮) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও প্রধান আসামি মো. সায়েম মোল্লা (২২) কে গ্রেপ্তার পুলিশ। 

বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত মো. সায়েম মোল্লাকে ঢাকার বিজ্ঞ আদাতলে তুলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে, দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্রুতার কারণে শিশু সায়েমকে গলা টিপে হত্যা করে সেন্টু মিয়ার ডোবায় লাশ ফেলে দেয় বলে হত্যাকারী সায়েম মোল্লার স্বীকারোক্তি। 

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তারকৃত মো. সায়েম মোল্লা কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া এলাকার মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে নবাবগঞ্জের বাহ্রা গ্রামে নানা কফিল উদ্দিনের বাড়িতে থাকতো। 

নিহত শিশু লাবিব পত্তনদার উপজেলার বাহ্রা গ্রামের হারুন পত্তনদারের ছেলে। 

ঘটনা সূত্রে, গত ২৭ জুন সন্ধ্যা ৫টার দিকে খেলতে গিয়ে ভিকটিম লাবিব পত্তনদার (৮) নিখোঁজ হয়।  এলাকাবাসীসহ খোজাখুজির পর ২৮ জুন রাত আড়াইটার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিমি দূরে  সেন্টু মিয়ার ডোবা থেকে ভিকটিমের লাশ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা চম্পা বেগম বাদী হয়ে নবাবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৯, তারিখ ২৮.০৬.২০২৪।

মামলা রুজুর সাথে সাথেই ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু লাবিব হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও মূল খুনীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পুলিশ সুপারের  নির্দেশে দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলমের তত্ত্বাবধানে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তদন্তে নামে। পুলিশ এজাহারনামীয় আসামি মো. বাবুল (৪০) কে গ্রেফতার করে। 

পরবর্তীতে গতকাল ২৯ জুলাই নবাবগঞ্জ থানার একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ময়মনসিংহ জেলায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. সায়েম মোল্লাকে গ্রেফতার করে। 

ধৃত আসামি সায়েম মোল্লা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দীর্ঘদিনের পারিবারিক শত্রুতার কারণে শিশু সায়েমকে গলা টিপে হত্যা করে সেন্টু মিয়ার ডোবায় লাশ ফেলে দেয়। 

পরবর্তীতে আজ বুধবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামি সায়েম মোল্লা দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

দোহার সার্কেলের জেষ্ঠ্য সহকারী পুলিশ সুপার মো. আশরাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

রিফাত

×