
ইসরায়েল ঘোষণা দিয়েছে, যদি ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যায়, তাহলে “তেহরান পুড়ে যাবে”, ইরানের রাজধানীর উপর ব্যাপক সমরাস্ত্র হামলায় মাধ্যমে । দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইস্রায়েল কাটজ বুধবার সতর্ক করে বলেন,
“যদি খামেনেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পথে এগিয়ে যান, তাহলে তেহরান পুড়ে যাবে।”
ইসরায়েলের সামরিক খেত্রে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এয়াল জামির এবং টোমার বার জানিয়েছেন, ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, আর "তেহরানের দিকে রাস্তা তৈরি" হয়ে গেছে । এই ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া ইরানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের বায়ু হামলা চালানোর সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।
পরিস্থিতির চোখে পড়ার কিছু ঘটনা:
-
ইরান গত দুই দফায় ইসরায়েলি নাগরিক অঞ্চলগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুঁড়ে, যার ফলে অন্তত ৩ জন নিহত ও ডজনখানেক আহত হয়েছে।
-
ইসরায়েল ইরানের নুক্লিয়ার ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ৭৮ জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী, ইরান বলছে তাঁদের প্রত্যাঘাতে তেহরানে বিস্তৃত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
-
যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরায়েল কিছু ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ।
-
আঞ্চলিক প্রভাব ও বিশ্ব প্রতিক্রিয়া:
এই প্রচণ্ড হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করেছে। উপসাগরীয় দেশগুলোর তেল রফতানি বিঘ্নিত হতে পারে, বিশ্ব বাজারে অস্থিরতা বাড়ছে । কৃষ্ণসাগর পারমাণবিক আলোচনাও ঝুঁকির মুখে—ইরান আলোচনার পথে থাকবে কি না সন্দেহে রয়েছে ।
সমীক্ষাঃ
পক্ষ | বক্তব্য |
---|---|
ইসরায়েল | “যদি হামলা চলে, তেহরান পুড়ে যাবে” |
ইরান | প্রতিহতছি ও প্রতিশোধ প্রস্তুত |
যুক্তরাষ্ট্র | ইসরায়েলকে সাপোর্ট জারি |
উপসাগর | আতঙ্কিত, তেলের বাজার অনিশ্চিত |
🔮 ভবিষ্যতের ছায়া:
যদি যুদ্ধ ক্রমবর্ধমান হয়, তাহলে আঞ্চলিক সংঘাত মাত্রায় উন্নীত হতে পারে—ওই সঙ্গে তেলের দাম, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর লক্ষণীয় প্রভাব পড়বে।
Jahan