
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধাবস্থা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে আঘাত হেনে অন্তত তিনজনকে হত্যা করেছে এবং আহত করেছে আরও ডজনখানেক মানুষকে। এটি ইরানের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে চালানো হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর ধারাবাহিক হামলার জবাবে।
ইরান জানায়, ইসরায়েল গত কয়েকদিন ধরে তাদের বিভিন্ন শহর, সামরিক স্থাপনা এবং পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৭৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩২০ জনের বেশি মানুষ।
ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়,
“এই প্রতিশোধ আমাদের আত্মরক্ষার অংশ এবং আমাদের জনগণের রক্ত বৃথা যাবে না। ইসরায়েলকে এর ফল ভোগ করতে হবে।”
ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাগুলোর বেশ কিছু রকেট প্রতিহত করা হয়েছে তবে কিছু মিসাইল আবাসিক এলাকায় বিস্ফোরিত হয়েছে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
যুদ্ধের ভয়াবহতা:
-
ইরানের মাটিতে ইসরায়েলের ‘নির্বিচার বোমাবর্ষণে’ হতাহতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
-
পারমাণবিক স্থাপনার লক্ষ্যবস্তু হওয়া ইরানের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ফেলেছে।
-
পাল্টা জবাবে ইরানের মিসাইল হামলা ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ অংশে সরাসরি আঘাত হানে।
বিশ্ব উদ্বেগে:
জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু দুই পক্ষই এখনো আগ্রাসন থেকে সরে আসার কোনো ইঙ্গিত দিচ্ছে না।
সামনে কী অপেক্ষা করছে?
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যদি এই সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে তা শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বশান্তিকেই বিপন্ন করতে পারে।
Jahan