ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে আল কাসাম ও আল কুদসের সমন্বিত হামলা

প্রকাশিত: ১৬:৪৩, ১৪ জুন ২০২৫

ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে আল কাসাম ও আল কুদসের সমন্বিত হামলা

ছবি: সংগৃহীত

ইরান-ইসরাইল উত্তেজনার মাঝেই গাজা থেকে নতুন সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন। হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেড "ডেভিড স্টোনস" নামে একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করছে। এর আওতায় একাধিক সফল হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে তারা।

প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যায়, খান ইউনুসের দক্ষিণাঞ্চলে আবু সরাখা জংশনের কাছে একটি ইসরায়েলি ট্যাংককে ইয়াসিন ১০৪ অ্যান্টি-ট্যাংক শেল দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও গাজার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মটার হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

এক পৃথক অভিযানে পূর্ব জাবালিয়ার তেল আল জাতার এলাকায় ইসরাইলি D9 বুলডোজারকে শক্তিশালী IED (ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। হামাসের দাবিতে বলা হয়, চালক নিহত হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারী যোদ্ধারা নিরাপদে ফিরে এসেছেন।

উত্তর গাজার আল আতাত্রা বেদলাহিয়া এলাকায় আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে আল কাসাম ব্রিগেড, যেখানে দেখা যায়, একটি বাড়িতে অবস্থানকারী ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে টিবিজি শেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে হতাহত হয় সেনারা। একই সংঘর্ষে মার্কাবা ট্যাংকে ইয়াসিন ১০৫ দিয়ে হামলা চালানো হয় এবং আরেকটি D9 বুলডোজারের নিচে পাতা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এদিকে, ইসলামী জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেড খান ইউনুসের উত্তরে একটি সফল অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে ইসরাইলি সামরিক যান IED ব্যবহার করে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়, অস্ত্রটি ইসরায়েলি ধ্বংসাবশেষ থেকেই তৈরি করা হয়েছে।

তারা আরও জানায়, বৃহস্পতিবার খান ইউনুসের পূর্বাঞ্চলে একটি ইসরায়েলি মাইন নিষ্ক্রিয় ইউনিট লক্ষ্য করে মাইনফিল্ড বিস্ফোরণ চালানো হয়।

হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, নেতানিয়াহুর ‘চূড়ান্ত বিজয়’ দাবি একটি বিভ্রান্তিকর ভ্রান্তি মাত্র। যারা যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করতে চায়, বাস্তবে তারাই বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে। তারা সতর্ক করে দেয়, এই যুদ্ধ নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত পতনের দিকে যাচ্ছে।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, খান ইউনুসে বিস্ফোরক পাতা একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১২ জন ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছে এবং তাদের দ্রুত সরিয়ে নিতে হয়েছে।

এই পাল্টা হামলাগুলো এমন এক সময়ে হচ্ছে যখন ইরান এবং ইসরাইলের মধ্যকার উত্তেজনা তুঙ্গে, এবং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আঁখি

×