
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভয়াবহ বিমান হামলার পর ইসরায়েল এখন সর্বাত্মক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনী পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার পাশাপাশি সীমান্তজুড়ে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৩ জুন) ভোর ৩টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানে বড় ধরনের বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে নিহত হন ইরানের দুই শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি ও ফেরেদুন আব্বাসি। একইসঙ্গে ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামির মৃত্যুর খবরও প্রচার করেছে ইরানি গণমাধ্যম।
ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে জানা গেছে, হামলায় তেহরানের বিপ্লবী গার্ড সদর দপ্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলার পর ওই এলাকায় আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘নেশন অব লায়ন্স’ নামে চালানো এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি। টাইমস অব ইসরায়েলকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান থেকে আসা তাৎক্ষণিক হুমকির জবাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির বলেন, “আমরা সমস্ত সীমান্তজুড়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি। যে কেউ আমাদের চ্যালেঞ্জ করবে, তাকে চরম মূল্য দিতে হবে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আমি নিরঙ্কুশ সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি না, তবে আমাদের প্রতিশোধ হবে অতীতের চেয়েও ভয়ংকর। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সব শাখা ও অধিদপ্তরে চলছে অভূতপূর্ব তৎপরতা।”
আসিফ