
ছবি: সংগৃহীত
ইরানে ব্যাপক বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক আঘাতের আশঙ্কায় দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইসরায়েল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। বিশেষ করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
তেল আবিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রাইজিং লায়ন’। হামলার পর রাজধানী জেরুজালেমসহ বিভিন্ন শহরে সতর্কতা হিসেবে সাইরেন বাজানো হয় এবং জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক রেকর্ডকৃত ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমরা এখন ইসরায়েলের ইতিহাসের একটি নির্ণায়ক মুহূর্তে অবস্থান করছি। এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা ইরানের পারমাণবিক বোমা তৈরির প্রচেষ্টা, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জকে টার্গেট করেছি। এই অভিযান কয়েক দিন ধরে চলবে।”
ইরানি গণমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, বিশেষ করে নাতাঞ্জ শহরের আশপাশে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওই এলাকায় অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ইউরেনিয়াম স্থাপনাই ছিল ইসরায়েলের অন্যতম লক্ষ্য।
এই হামলার পর ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলার প্রস্তুতির খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। তীব্র উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে অস্থির হয়ে উঠেছে।
ফারুক