
ছবি: সংগৃহীত।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত থাকা ভারতের ত্রিপুরার কৈলা শহরের বিমানবন্দর এবার ফের চালু করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে ভারতের দাবি, বাংলাদেশের লালমনিরহাটে নতুন করে বিমান ঘাঁটি সচল করা হচ্ছে। লালমনিরহাটের বিমান ঘাঁটি চালু হলে ভারতের ‘চিকেন নেক’ এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়বে বলে মনে করছে দিল্লি।
গত সপ্তাহে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল কৈলা বিমানবন্দর পরিদর্শন করে এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেছে। আনন্দবাজারের খবর অনুযায়ী, ত্রিপুরার শাসক দল নয়া দিল্লিতে গিয়ে দ্রুত এই বিমানবন্দর চালুর জন্য মোদির সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে।
যদিও কৈলা বিমানবন্দরকে বেসামরিক বলা হলেও এর মধ্যে থাকবে যুদ্ধ বিমান চলাচলের সুবিধা, তৎপরতার সঙ্গে বিমান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ। বিমানবন্দর চালু হলে ভারত সীমান্তের মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে চীন ও পাকিস্তানের নজরদারির আশঙ্কায় সেখানে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবে।
ভারত দাবি করেছে, লালমনিরহাটের বিমান ঘাঁটি চালু করতে চীনের সাহায্য রয়েছে এবং সেই কারণে সেখানে চীনা প্রতিনিধিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। চীনের এই প্রভাবের বিরুদ্ধে নজরদারি বাড়াতে ত্রিপুরার বিমানবন্দর সচল করতে উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।
চিকেন নেক ও সেভেন সিস্টারস অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোদি সরকারের তৎপরতা তীব্র। সেখানে এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম মোতায়েনসহ আধুনিক যুদ্ধবিমান ও সামরিক মহড়া চালানো হচ্ছে। কৈলা বিমানবন্দর চালু হলে তাতেও প্রতিরক্ষা কাঠামো বসানো হবে বলে ভারতীয় মিডিয়া জানাচ্ছে।
ভারতের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশকে শক্তিশালী বার্তা দেয়া এবং সীমান্ত নিরাপত্তায় সজাগ থাকা।
নুসরাত