ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এবার পানির রাজনীতিতে পাকিস্তানের পাশে চীন, ক্রমশ কোণঠাসা মোদির ভারত!

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ২২ মে ২০২৫

এবার পানির রাজনীতিতে পাকিস্তানের পাশে চীন, ক্রমশ কোণঠাসা মোদির ভারত!

ছবি: প্রতীকী

কাশ্মীরের পেহেলগাম ঘটনার পরপরই ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে মিত্র পাকিস্তানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের গতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন।

চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি’র বরাতে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত মোহমন্দ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে কংক্রিট ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি প্রকল্পটির উন্নয়নে একটি ‘মূলগত মাইলফলক’।

২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার পর চীন এতে নতুন গতি এনেছে। একে অনেকেই ভারতের পানিবন্ধের হুমকির প্রেক্ষিতে ‘প্রতিক্রিয়ামূলক কৌশল’ হিসেবে দেখছেন।

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পরে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক সিন্ধু পানি চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় পাকিস্তান সিন্ধু নদীর জলপ্রবাহ পায়, যা দেশটির খাদ্য ও জীবনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

পাকিস্তান এর জবাবে স্পষ্ট জানায়, পানির প্রবাহ বন্ধ করা হলে ‘তা যুদ্ধ ঘোষণার সামিল হবে’ এবং ইসলামাবাদ এর বিরুদ্ধে জাতীয় শক্তির সম্পূর্ণ সক্ষমতা দিয়ে জবাব দেবে। দেশটির তথ্যমতে, সিন্ধু পানি হলো ২৪ কোটির বেশি মানুষের জীবনরেখা।

চীনের জবাব: মোহমন্দ প্রকল্পে গতি

চীনের সহায়তায় নির্মিত মোহমন্দ ড্যাম প্রকল্প শুধু জলবিদ্যুৎ উৎপাদন নয়, বরং বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেচ এবং পানীয় জল সরবরাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে পেশোয়ারে প্রতিদিন ৩০ কোটি গ্যালন পানীয় জল সরবরাহ সম্ভব হবে। একইসাথে এতে ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যদিও চীন সরকার ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে, তবে তারা পাকিস্তানকে তাদের ‘লৌহকঠিন ভাই’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরেই দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে।

এছাড়া চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) এর আওতায় ইতিমধ্যেই ডায়ামার-ভাশা ড্যাম-এর মতো অন্যান্য বৃহৎ প্রকল্পে চীন বিপুল বিনিয়োগ করেছে।

এদিকে, ভারতের সঙ্গেও চীনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকার প্রাণঘাতী সংঘর্ষ এখনো দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতিকে জটিল করে রেখেছে। এই প্রেক্ষাপটে চীন কৌশলগতভাবে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=7EGH1Z8FI8M

রাকিব

×