
ছবি: সংগৃহীত
নিরাপত্তা উপদেষ্টা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশকে জড়িয়ে সম্প্রতি যে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ সংক্রান্ত প্রচারণা ছড়ানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি দাবি করেন, এই অপপ্রচার শুরু হয়েছে প্রতিবেশী একটি দেশের একটি নিউজ পোর্টাল থেকে, বাংলাদেশ থেকে নয়।
তিনি বলেন,"মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি, করিডর নিয়ে প্রচারণা কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ওঠে নাই। এটি এসেছে বাইরে থেকে। তারা এমনকি বলছে যে আমরা আমেরিকার স্বপক্ষে একটি প্রক্সি যুদ্ধ করব। এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “আমি জাতিসংঘ, আমেরিকা, চীন কিংবা অন্য কোনও রাষ্ট্রকে টেনে এনে কোনও ধরনের গোপন সমঝোতা করিনি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে কেউ একতরফাভাবে কিছু করতে পারে না। এটা তো সাধারণ বুদ্ধির বিষয়।”
তিনি আরও বলেন, “আজ যদি আরাকানে কোনও সংঘাত হয় এবং সেটিকে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ বলা হয়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কে? বাংলাদেশই তো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমি এটি আগেও প্রকাশ্যে বলেছি।”
তিনি দাবি করেন, তাকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং সমন্বয় করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এবং সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন, যেখানে তার উপর ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এক উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলাম এবং ফেরার পথে রামু ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে স্থানীয় কমান্ডারের সঙ্গে চা খেয়েছি। এর ভিত্তিতে বলা হচ্ছে আমি নাকি সেখানে গিয়ে ‘প্রক্সি যুদ্ধের’ পরিকল্পনা করেছি। এটা একেবারেই হাস্যকর ও দুঃখজনক।”
তিনি আরও জানান, “যারা অপপ্রচার করছে, তারা দেশের স্বার্থ ভুলে গেছে। সরকারের পক্ষে সবসময় সব কথা বলা সম্ভব হয় না। আমি আশা করেছিলাম, যারা সচেতন নাগরিক, তারা নিজেরাই এসব তথ্য যাচাই করবেন।”
তিনি বলেন, “আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করি, একইসঙ্গে সেনাবাহিনীর সঙ্গেও কাজ করি। দেশের স্বার্থেই এসব দায়িত্ব পালন করছি। আমাদের ওপর প্রতিনিয়ত অনেক আন্তর্জাতিক চাপ থাকে। সেই পরিস্থিতিতে কাজ করা সহজ নয়।”
তিনি আহ্বান জানান, “অপপ্রচার বন্ধ করুন। দেশের স্বার্থে গুজব না ছড়িয়ে প্রকৃত তথ্যকে গুরুত্ব দিন।”
সূত্র:https://youtu.be/_StKLJ1sv1g?si=xs64Tgm2kMNWRqgL
আঁখি