ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

কাতারের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমান যেভাবে লুফে নিলেন ট্রাম্প!

প্রকাশিত: ১১:১৫, ২২ মে ২০২৫; আপডেট: ১১:১৭, ২২ মে ২০২৫

কাতারের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বিমান যেভাবে লুফে নিলেন ট্রাম্প!

ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর সামনে রেখে এমন একটি উড়োজাহাজকে ‘কাতারের উপহার’ হিসেবে প্রচার করা হয়, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্কের ঝড় ওঠে। যদিও কাতার সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি, এবং বিষয়টি এখনো আলোচনা পর্যায়ে রয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিলাসবহুল উড়োজাহাজ উপহার দেওয়ার বিষয়ে কাতারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না বলে জানিয়েছে সিএনএন। মার্কিন প্রশাসনই বরং প্রেসিডেন্টের ব্যবহারের জন্য উড়োজাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় কাতারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অন্তত চারটি সূত্র।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুতে উড়োজাহাজটি ইজারার ভিত্তিতে ব্যবহারের কথা ছিল। পরে কাতার সরকার এটি বিনা মূল্যে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব দিতে পারে বলে আভাস দেয়। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্প এটি ‘উপহার’ বলে প্রচার করেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এয়ার ফোর্স ওয়ান পরিবর্তন করতে তোড়জোড় শুরু করেন ট্রাম্প। কারণ, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজটি ৩৫ বছরের পুরোনো। প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশও (সিনিয়র বুশ) এটি ব্যবহার করতেন।

নতুন উড়োজাহাজের জন্য গত জানুয়ারিতেই বোয়িংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কিন্তু আগামী দুই বছরের মধ্যে নতুন কোনো প্রেসিডেনশিয়াল উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারবে না বলে জানায় বোয়িং। এয়ার ফোর্স ওয়ান পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন করতে চাচ্ছিলেন ট্রাম্প। তাই শুরু হয় বিকল্প খোঁজা।

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে এয়ার ফোর্স ওয়ানের বহরের জন্য সম্ভাব্য উড়োজাহাজের তালিকা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ সময় বোয়িং জানায়, বিশ্বজুড়ে তাদের যেসব ক্লায়েন্টের কাছে এয়ার ফোর্স ওয়ান হওয়ার মতো উড়োজাহাজ আছে তার একটি তালিকা তারা পেন্টাগনকে দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে মাত্র আটটি উড়োজাহাজ খুঁজে পাওয়া যায়, যেগুলো মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বহনের যোগ্য হতে পারে। ওই তালিকায় ছিল কাতারের ওই আলোচিত জাম্বো জেট। দেশটির রাজপরিবার একসময় এই উড়োজাহাজটি ব্যবহার করত। পরে, উইটকফ কাতারিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেটটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এই ঘটনার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কাতার বা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে ব্লুমবার্গ, সিবিএস নিউজ, সিএনবিসিসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিষয়টি পেন্টাগনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে নিশ্চিত করেছে।

নুসরাত

×