
ছবিঃ সংগৃহীত
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যে কোনো সময় হামলা চালাতে প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী তেহরানের ওপর আঘাত হানার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে।
অন্যদিকে, পশ্চিমা বিশ্বকে হুঁশিয়ার করে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে তাদের কাউকে জবাবদিহি করার প্রয়োজন নেই। এর ফলে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার পরমাণু চুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা ও ধোঁয়াশা।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়াই যদি ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায়, তবে তা ওয়াশিংটন-তেল আবিব সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। ইতোমধ্যে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সিএনএন-কে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ইরানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে—যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল কখন এবং কীভাবে হামলা চালাবে, তা নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের চলমান পারমাণবিক আলোচনা কতদূর গড়ায়, তার ওপর।
এদিকে, ইরান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ইতোমধ্যে সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তেহরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার পূর্বাভাস হিসেবে একে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।
নোভা