
ছবি: জনকণ্ঠ
বান্দরবানের আলীকদমে মারাইংতং জাদীপাহাড়ে নির্মাণাধীন বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে মারাইংতং জাদীর ভূমি নিয়ে জাদী কর্তৃপক্ষ ও সাঙ্গু মৌজার চংপাত ম্রো হেডম্যান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বুধবারও উভয় পক্ষের লোকজন জাদীতে উপস্থিত হয়ে ভূমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার পর তারা চলে গেলে জাদির অন্যান্য সেবকরা নির্মাণাধীন বুদ্ধমূর্তিটির হাত-পাসহ বেশ কিছু অংশ ভাঙা দেখতে পান এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি পরিচালনা কমিটির সভাপতি উ উইচারা মহাথেরোকে জানান। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মারাইংতং বৌদ্ধ জাদী পরিচালনা কমিটির সভাপতি উ উইচারা মহাথেরো অভিযোগ করেন, লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজার হেডম্যান চংপাত ম্রোর নেতৃত্বে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে, অভিযোগটি অস্বীকার করে হেডম্যান চংপাত ম্রো বলেন, তিনিও একজন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এমন একটি কাজ তার দ্বারা হওয়া সম্ভব নয়। তিনি আরও জানান, গতকাল জেলা পরিষদ সদস্য খামলাই ম্রোসহ অন্যদের নিয়ে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে সরেজমিনে মারাইংতং জাদী এলাকায় গিয়েছিলেন। বিকেলে সেখান থেকে ফিরে গজালিয়া হেডম্যানের বাড়িতে বসে আলোচনার সময় তিনি জানতে পারেন কে বা কারা জাদী এলাকায় নির্মাণাধীন একটি বুদ্ধমূর্তি ভেঙে দিয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম জানান, বৌদ্ধমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবুও প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
শহীদ