
ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের দুই ভাই নজির হোসেন ও নুর আলম চাকরি ছেড়ে শুরু করেছেন রশি তৈরির ব্যবসা। দীর্ঘ ২০ বছর ঢাকায় রশির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পর এখন নিজেরাই উদ্যোক্তা।
২০০৩ সালে বড় ভাই নজির হোসেন মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুরে মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন। পরে ছোট ভাই নুর আলমও একই কারখানায় যোগ দেন। কিন্তু বছর পেরিয়ে গেলেও সঞ্চয় বলতে কিছুই ছিল না। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেন, চাকরির পিছু ছেড়ে কিছু নিজেদের জন্য করবেন।
বাবার সহযোগিতায় স্থানীয় একটি এনজিও থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়ে নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেন ‘নজির হোসেন দড়ি ঘর’। বর্তমানে একটি আধাপাকা টিনশেড ঘরে ১৫টি মেশিন বসিয়ে বিভিন্ন সাইজ ও রঙের রশি তৈরি করছেন তারা। প্রতিদিন প্রায় ৬০ কেজি রশি উৎপাদন হয়।
এখন পর্যন্ত দুজন নারী শ্রমিকও যুক্ত হয়েছেন কারখানায়, যারা ঘণ্টাপ্রতি ২৫ টাকা হারে মজুরি পাচ্ছেন। প্রতিদিন গড়ে ২০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন এসব নারী কর্মী।
তবে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও মূলধনের অভাবে বড় আকারে উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দুই ভাই। কাঁচামাল ঢাকা থেকে আনতে খরচ বেশি হওয়ায় লাভও সীমিত।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গ্রামের মধ্যে রশি তৈরির এমন উদ্যোগ তাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। সহজেই এখান থেকে রশি কিনে নিতে পারছেন তারা।
কুড়িগ্রাম বিসিকের উপব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ জোনায়েদ জানান, দুই ভাই যোগাযোগ করলে তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা হবে।
আলীম