
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও পুলিশের উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পর কর্মকর্তারা সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার ভোররাতে অন্ধ্রপ্রদেশের সিমহাচলমে অবস্থিত শ্রী বরাহা লক্ষ্মী নারসিংহ স্বামী মন্দিরে বার্ষিক উৎসব চলাকালে একটি প্রাচীর ধসে সাতজন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক টেকি দম্পতিও। প্রথমে মৃত্যুর সংখ্যা আট বলা হলেও শেষ পর্যন্ত এনডিআরএফ ও পুলিশের উদ্ধার অভিযান শেষে সাতজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। আহত তিনজনকে বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিশাখাপত্তনম জেলার বাসিন্দা টেকি দম্পতি পিল্লা উমা মহেশ্বর রাও (৩০) ও পিল্লা শৈলজা (২৬)। তারা হায়দরাবাদে এইচসিএল ও ইনফোসিসে কর্মরত ছিলেন এবং বাড়ি থেকে কাজ করছিলেন।
তিন বছর আগে বিয়ে হওয়া এই দম্পতি বিশাখাপত্তনমের মধুরাওয়াড়ার চন্দ্রপালেম গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
শৈলজার মা ভেঙ্কট রত্না (৪৫) ও খালা জি. মহালক্ষ্মী (৬৫) এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
অন্য নিহতরা হলেন পূর্ব গোদাবরী জেলার বাসিন্দা দুর্গাস্বামী নাইডু (৩৩) ও কে. মনিকান্ত (২৮), এবং বিশাখাপত্তনমের যেদলা ভেঙ্কট রাও (৪৫)।
ঘটনাটি ঘটে রাত প্রায় ৩টা ১৫ মিনিটে, যখন ভক্তরা বার্ষিক ‘চন্দনোৎসব’ উপলক্ষে দর্শনের টিকিট কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
তারা ‘নিজরূপ দর্শনম’-এর ৩০০ টাকার টিকিট কেনার অপেক্ষায় ছিলেন। এই উৎসবে দেবতার মূর্তির ওপর থাকা ঘন চন্দনের প্রলেপ সরিয়ে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যা দিন শুরুর আগেই সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল।
ঘটনার পরপরই এনডিআরএফ সদস্যরা পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় উদ্ধারকাজ শুরু করেন।
উদ্ধার তদারকিতে ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভাঙ্গালাপুড়ি অনীতা, বিশাখাপত্তনম জেলা প্রশাসক এম.এন. হরেন্দ্রপ্রসাদ এবং পুলিশ কমিশনার শংকর ব্রতা বাগচি।
ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন. চন্দ্রবাবু নাইডু, উপ-মুখ্যমন্ত্রী পবন কল্যাণ, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী নারা লোকেশসহ অন্যান্য মন্ত্রীরা।
মুখ্যমন্ত্রী এ ঘটনায় তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিহতদের পরিবারকে ২৫ লাখ রুপি করে এবং আহতদের ৩ লাখ রুপি করে আর্থিক সহায়তার ঘোষণাও দিয়েছেন।
আপনি কি এই অনুবাদে কোনো নির্দিষ্ট উপভাষা বা সংবেদনশীল শব্দচয়নের দিক থেকে পরিবর্তন চান?
শহীদ