ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে পশ্চিমাদের কঠিন বার্তা সৌদির

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৯ জুলাই ২০২৫

ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে পশ্চিমাদের কঠিন বার্তা সৌদির

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দীর্ঘ সময় নীরব থাকা সৌদি আরব এবার তাদের নীরবতা ভেঙেছে এবং ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার শর্ত হিসেবে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ইসলামের প্রথম কিবলা দখল ও পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের উচ্ছেদের ঘটনায় নীরব দর্শক হিসেবে থেকেও এখন তারা স্পষ্ট হুংকার দিয়ে পশ্চিমাদের কাছে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের কঠিন শর্ত তুলেছে। জাতিসংঘের নিউইয়র্ক সদর দপ্তরে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ আয়োজনে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল ঘোষণা করেছেন যে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোন ধরনের সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে না সৌদি আরব।

এটি সৌদির সবচেয়ে স্পষ্ট অবস্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার শর্ত হিসেবে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সৌদি আরব ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত রয়েছে এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গতি সৃষ্টি হলে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনাও শুরু হতে পারে।

আব্রাহাম চুক্তির আওতায় যদি সৌদি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তবে তারা নেতানিয়াহুর দেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছে। এর আগে পশ্চিমা মিত্ররা অনেক চেষ্টা করেও সৌদিকে আব্রাহাম চুক্তিতে রাজি করাতে পারেনি, তবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হতে পারে। প্রিন্স ফয়সাল বলেছেন, গাজায় চলমান সংঘাত বন্ধ এবং মানুষের দুর্ভোগ কমার পরই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা শুরু হবে।

এই নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে ফ্রান্সের ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এর পরেই নিউইয়র্কে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অংশ নিয়েছিল, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

শেখ ফরিদ 

আরো পড়ুন  

×