ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধা নারী আটক

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ২৩ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৬, ২৩ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধা নারী আটক

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দেশটির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের এক বৃদ্ধা নারীকে আটক করেছে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত। ধারণা করা হচ্ছে, এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে বিস্ফোরক ডিভাইস ব্যবহারের পরিকল্পনাও ছিল।

স্থানীয় গণমাধ্যম ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার ‘কান’ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানায়, ওই নারী সরকারবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত এবং তাঁর বয়স ৭০ এর কোঠায়। আদালতের গোপনীয়তা নির্দেশনার কারণে তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি। জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে তাঁকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী, তিনি আর কোনো সরকারি ভবনের আশপাশে যেতে পারবেন না এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছাকাছিও ভিড়তে পারবেন না।

‘কান’ আরও জানিয়েছে, আসামির বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ইন্ডিক্টমেন্ট) দায়ের করা হবে। এতে ‘অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র’ এবং ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনের ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। বর্তমানে শিন বেত কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে এবং তাঁকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে।

আগের হত্যাচেষ্টা ও ইরানি সংযোগ
এটি প্রথম কোনো হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নয়। এর আগে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইসরায়েলি নিউজ সাইট ‘ওয়াল্লা’ জানায়, এক ইসরায়েলি নাগরিককে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ছাড়াও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং শিন বেতের সাবেক প্রধান রোনেন বারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, তুরস্কে অবস্থানকালে ইরানি গোয়েন্দাদের সঙ্গে ওই ইসরায়েলি নাগরিকের যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের আগস্টে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শিন বেত ও পুলিশের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই ব্যবসায়ী সীমান্ত পেরিয়ে ইরানে গিয়েছিলেন এবং সেখানকার গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।


এছাড়া ২০২৩ সালের অক্টোবরে নেতানিয়াহুর কেসারিয়াস্থ বাসভবন লক্ষ্য করে একটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, যার উৎসস্থল ছিল সম্ভবত লেবানন। যদিও ওই হামলায় কেউ হতাহত হননি এবং ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী বাসায় উপস্থিতও ছিলেন না।


নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্র, হত্যাচেষ্টা এবং হামলার ঘটনা ইসরায়েলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর একটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈদেশিক হুমকির প্রেক্ষাপটে এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বাড়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। তদন্ত শেষে এই ষড়যন্ত্রে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, সে প্রশ্নের উত্তর হয়তো সামনে স্পষ্ট হবে।

 

 

 

সূত্র:https://tinyurl.com/2kmhu86x

আফরোজা

×