
ছবি আলজাজিরা
ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে রিপোর্টিং নিষিদ্ধ থাকায় আল জাজিরা এখন জর্ডান থেকে গাজা বিষয়ক সংবাদ সংগ্রহ করছে।
ইসরায়েল গাজা উপত্যকার খান ইউনুস শহরের মধ্য দিয়ে নতুন একটি করিডোর নির্মাণ করেছে—"মাগেন ওজ করিডোর", যা শহরের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ অঞ্চলকে শহরের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।
এই করিডোরের কারণে একাধিক পৌরসভা অঞ্চল কাটা পড়েছে, যেসব অঞ্চলে কৃষিকাজ চলত এবং যেখানে মানুষ অস্ত্রবিরতি হলে ঘরে ফিরে যাওয়ার আশায় ছিলেন—তাদের সে আশাও এখন দুরাশা হয়ে যাচ্ছে।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এটি শুধু সামরিক চাপ প্রয়োগের কৌশল নয়, বরং স্থল বাস্তবতা (facts on the ground) পরিবর্তনের একটি কৌশল।
ইসরায়েলি আর্মি রেডিওর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই করিডোরের আশেপাশের অঞ্চল ‘জাতিগতভাবে পরিষ্কার’ করে ফেলা হয়েছে, অর্থাৎ ফিলিস্তিনি জনবসতি থেকে খালি করে সেখানে ভবিষ্যতে এমন একটি ‘ঘনীভূত ফিলিস্তিনি এলাকা’ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা মূলত রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের উপর গড়ে উঠবে। এই পরিকল্পিত অঞ্চলটিকে ‘ঘন বসতির জোন’ বানিয়ে সেখানে আরও বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে স্থানান্তরিত করে সীমাবদ্ধ করে রাখার লক্ষ্য রয়েছে।
এই বাস্তবতা কাতারের দোহায় চলমান অস্ত্রবিরতি আলোচনাকে জটিল করে তুলছে, কারণ ইসরায়েল এই নতুন বাফার জোনগুলো থেকে সরে যেতে নারাজ। এর ফলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের বসবাসযোগ্য অঞ্চল দিন দিন আরও সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের এ ধরনের পদক্ষেপ গাজাকে একটি বিশাল খোলা কারাগারে পরিণত করছে, যেখানে অস্ত্রবিরতির আশাও আর বাস্তবসম্মত নয়।
শেখ ফরিদ