ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

ইবি প্রশাসন গোপালগঞ্জের মতো আওয়ামী প্রীতি দেখিয়ে যাচ্ছে : সমন্বয়ক

স্টাফ রিপোর্টার, ইবি

প্রকাশিত: ২০:২২, ১৬ জুলাই ২০২৫

ইবি প্রশাসন গোপালগঞ্জের মতো আওয়ামী প্রীতি দেখিয়ে যাচ্ছে : সমন্বয়ক

ছবি:সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতৃবৃন্দের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক ‘ব্লকেড’ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান তারা। পরে বিকাল সোয়া ৬টার দিকে ব্লকেড ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে তারা “ওয়ান টু থ্রি ফোর, গোপালগঞ্জের কবর খোড়”, “সারাবাংলায় খবর দে, আওয়ামী লীগ কবর দে”, “লীগ পাবি যেখানে, ধোলাই হবে সেখানে”, “মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ”, “সারা বাংলায় খবর দে, মুজিববাদের কবর দে” ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের সম্মুখ সারির সহযোদ্ধা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালনে গোপালগঞ্জে যাচ্ছিল। কিন্তু পুরোনো স্টাইলে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ তাদের উপর নির্মম হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালালেও তার চ্যালারা রয়ে গেছে। আমরা যদি একতাবদ্ধ হয়ে তাদের মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে সারাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখা সমন্বয়ক মুখলেসুর রহমান সুইট বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থ্যানে আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটালেও সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে পারিনি। এর অন্যতম উদাহরণ আজকের গোপালগঞ্জে জুলাই বিপ্লবের সম্মুখ যোদ্ধাদের উপর হামলার মাধ্যমে আমরা তা বুঝতে পারছি। এটি হওয়ার কারণ আমাদের অনেকের মাঝে এখনও আওয়ামী প্রীতি রয়ে গেছে। এছাড়া নিরাপত্তার জায়গায় সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আজকের এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারকে জানাতে চাই— অবিলম্বে গোপালগঞ্জের ডিসি-এসপিকে প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন, হামলায় জড়িতদের দ্রুতসময়ে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা করতে হবে। পুলিশদের সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ৫ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গোপালগঞ্জের মতো আওয়ামী প্রীতি দেখিয়ে যাচ্ছে। যারা জুলাই আন্দোলনে 'আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা' বলে স্লোগান দিয়েছে, প্রশাসন এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অনতিবিলম্বে জুলাই বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এমনকি গোপালগঞ্জের মতো ইবি থেকেও এখনো ফ্যাসিবাদের চিহ্নগুলো ধ্বংস করা হয়নি। আমরা প্রশাসনকে আহ্বান করছি— ৩/৪ কার্যদিবসের মধ্যে ফ্যাসিবাদের চিহ্নগুলো ধ্বংস করতে হবে।
 

 

মারিয়া

আরো পড়ুন  

×