ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয় 

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ১৭ জুলাই ২০২৫

শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয় 

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার মাটিতে এক ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় লাভ করেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তানজিদ তামিমের দুরন্ত ফিফটিতে ভর করে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, যার ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কায় এর আগে টেস্ট বা ওয়ানডে ম্যাচ জয়ের কীর্তি থাকলেও, কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের ঘটনা এই প্রথম।

বুধবার কলম্বোর পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। দারুণ বোলিংয়ে লঙ্কানদের নাগালেই রাখে টাইগাররা। প্রথম দুই ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৩২ রান সংগ্রহ করে। জবাবে নেমে বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারালেও, ওপেনার তানজিদ তামিম এবং তিনে নামা লিটন দাস ৭৪ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। তানজিদ ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলে ২১ বল বাকি থাকতেই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন।

শ্রীলঙ্কা ইনিংসের প্রথম ওভারে কুশল মেন্ডিস (৬) এবং দ্বিতীয় ওভারে কুশল পেরেরাকে (০) হারায়। এই দুটি উইকেটই তুলে নেন শেখ মেহেদী। পরে তিনি দিনেশ চান্ডিমাল (৪) ও চারিথা আশালঙ্কাকে (৩) সাজঘরে পাঠান। ডানহাতি এই অফ স্পিনার লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে (৩৯ বলে ৪৬ রান) সাজঘরে পাঠিয়ে দলের পক্ষে সেরা ব্রেক থ্রু এনে দেন। নিশাঙ্কার ব্যাট থেকে চারটি চারের শট আসে। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস ১৫ বলে ২১ রান এবং দাশুন শানাকা ২৫ বলে ৩৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন, যেখানে চারটি চার ও দুটি ছক্কা ছিল। বোলিংয়ে শরীফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৫০ রান দিলেও, মেহেদী ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। রিশাদ ৪ ওভারে ২০ ও তানজিম সাকিব ২ ওভারে ২৩ রান হজম করেন।

বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারে পারভেজ ইমনকে হারালেও, নতুন বলেই ম্যাচের গতিপথ ঠিক করে ফেলে। লিটন দাস ২৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন, যা দুটি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে সাজানো ছিল। তানজিদ তামিমের সাথে তার ৭৪ রানের জুটিটি দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শুরু থেকে চোখ ধাঁধানো ছক্কা হাঁকাতে থাকা তানজিদ ৪৭ বলে ৭৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন, যেখানে ছয়টি ছক্কা ও একটি চার ছিল। তাকে সঙ্গ দিয়ে তাওহীদ হৃদয় ২৫ বলে ২৭ রান করে ৬৯ রানের জুটি গড়েন, যেখানে একটি করে চার ও ছক্কা ছিল।

সাব্বির

×