
ছবি: জনকণ্ঠ
গত বছর জুলাই মাসটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল সৈয়দপুর। তবে ১৮ জুলাই দিনটি এ জনপদবাসীর কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সাধারণ শিক্ষার্থীর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশের আকস্মিক গুলিবর্ষণ, কাদানে গ্যাস ও বিস্ফোরণের শব্দে প্রকম্পিত হয় সৈয়দপুর। হতভম্ব হন শহরবাসী।
নিরস্ত্র ছাত্ররা গুলিতে রক্তাক্ত হয়ে সমাবশ স্থল তাগ করে। তবে পুলিশের এমন আচরণ মেনে নিতে পারেনি কেউ।
এদিন বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিমানবন্দর সড়কস্থ সিপিবি মোড়ে সমবেত হন। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগে সরকারি পরিপত্র বহাল রাখার দাবির প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করে ট্রেন অবরোধ, মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেন।
এদিন শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে একত্র হয়। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পাঁচমাথা মোড়ে যায়। সেখানে নিহতের স্মরণে এক মিনিটি নীরবতা পালন করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আধা ঘন্টা রেললাইন অবরোধ করে। পরে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ শুরু করেন। দুপুর দেড়টায় আকস্মিকভাবে সমবেত শিক্ষার্থীর ওপরে পুলিশ গুলি বর্ষণ শুরু করে। এত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়। প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে যান এবং সেখানে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারি সব চাকরিতে সব ধরনের কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানান। দেশকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত রোধে কোটা বাতিলের দাবি দেশব্যাপী চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এখন পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি নিহত ও আহত হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এদিন বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি সৈয়দপুর, সৈয়দপুর ক্যান্টপাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, সৈয়দপুর সরকারি কলেজ, সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সানফ্লাওয়ার স্কুল এ্যান্ড কলেজ, লায়ন্স স্কুল এ্যন্ড কলেজ, আল ফারুক একাডেমিসহ অন্যন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে অংশ নেয়।
আবির