ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

মঠবাড়িয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর

প্রকাশিত: ২০:১১, ১৭ জুলাই ২০২৫

মঠবাড়িয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

ছবি: জনকণ্ঠ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপাত্য বিস্তারের জের ধরে পূর্ব শত্রুতায় একদল কিশোর গ্যাংয়ের সশস্র হামলায় দুই যুবক গুরুতর জখমের পর এক জনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। হামলায় গুরুতর জখম একজন ঢাকায় চিকিৎসা নিলেও অপর গুরুতর আহত ছাত্রদল কর্মি মুবিন (২৩) দীর্ঘ সতের ঘন্টা মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউমার্কেট এলাকায় সনি র‌্যাংঙস শো রুমের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। নিহত মুবিন ঢাকার একটি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ও ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মি বলে জানাগেছে। সে মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইদ্রীস আলী মহারাজ এর ছোট ছেলে এবং উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার ভাগ্নে। অপর আহত যুবক ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হুমায়ূন কবিরের ছেলে কলেজ ছাত্র তামিম শামী (২৩) ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খোকন মোক্তারের ছেলে রনি (২০) ও তার সহয্গোী ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ আরও ৬-৭ জন কিশোর গ্যাং গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে দু’জনকে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়।

পরে স্বজনরা আহত মুবিন ও তামিম শামীকে ওই রাতে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকে কলেজে রেফার করেন। সেখানে তাদের অবস্থার আরও অবনতি হলে গভীর রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ১৬ ঘন্টা চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে মুবিনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন মুবিনের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

শহীদ

×