
বিশ্বে ধনকুবেরের সংখ্যা কম নয়। তবে রাজকীয় ঐশ্বর্য আর বিলাসিতায় অনেককেই ছাড়িয়ে গেছেন থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ণ, যিনি রামা দশম নামেও পরিচিত। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩.৭ লাখ কোটি টাকার (প্রায় ৪৩ বিলিয়ন ডলার) সম্পদ নিয়ে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাজা।
বিলিয়নিয়ার হলেও তাঁর সম্পদের উৎস কর্পোরেট দুনিয়া নয়, বরং প্রাচীন রাজবংশীয় ঐতিহ্য ও আধুনিক বিনিয়োগ। ২০১৬ সালে বাবা প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুল্যাদেজের কাছ থেকে বিশাল সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পান তিনি। এরপর থাইল্যান্ডের বড় বড় কোম্পানি ও রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ করে সেই সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়ান।
রাজধানী ব্যাংককে তাঁর ব্যক্তিগত মালিকানায় রয়েছে ১৭ হাজারের বেশি সম্পত্তি। রাজকীয় ব্যবহার ও উৎসব-অনুষ্ঠানের জন্য রয়েছে ৫২টি সোনার নৌকা। তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহে আছে ৩০০টির বেশি বিলাসবহুল গাড়ি ও ৩৮টি প্রাইভেট জেট যা বিশ্বের যেকোনো রাজা বা সেলিব্রেটির বিলাসিতাকেও হার মানায়।
১৯৫২ সালে জন্ম নেওয়া মহা ভাজিরালংকর্ণ রাজা ভূমিবল ও রানি সিরিকিতের একমাত্র পুত্র। যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় সামরিক শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। জেট ও হেলিকপ্টার চালনায় দক্ষ এই রাজা অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সামরিক বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং থাই সেনাবাহিনীতেও কাজ করেছেন, এমনকি ১৯৭০-এর দশকে বিদ্রোহ দমন অভিযানে অংশ নেন।
তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও বিতর্কের শেষ নেই। এখন পর্যন্ত চারবার বিয়ে করেছেন রাজা ভাজিরালংকর্ণ, যার প্রতিটি বিয়ে ও বিচ্ছেদই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। তবুও থাইল্যান্ডে রাজপরিবারের প্রতীক হিসেবে তাঁর উপস্থিতি এখনো অবিসংবাদিত।
বিলাসিতা ও সম্পদের ভিন্ন ব্যাখ্যা থাকলেও, থাইল্যান্ডের এই রাজা নিঃসন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যতিক্রমী ধনীদের একজন,যার জীবন রূপকথার মতোই রঙিন, রাজকীয় এবং বিতর্কিত।
সূত্র:https://tinyurl.com/nzps9wz9
আফরোজা