
ছবি : সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলায় আসন্ন পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে “সন্ত্রাসবাদের” অভিযোগে বিরোধী জোটের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোর ঘনিষ্ঠ সহযোগী হুয়ান পাবলো গুয়ানিপার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে জানানো হয়, তাকে আটক করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার গ্রেপ্তারের দৃশ্যও প্রচার করা হয়, যেখানে তাকে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীদের পাহারায় নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এক বার্তায় গুয়ানিপা লেখেন, “ভাই ও বোনেরা, যদি এই বার্তা তোমরা পড়ো, তাহলে বুঝে নিও আমি মাদুরোর বাহিনীর দ্বারা অপহৃত হয়েছি। গত কয়েক মাস ধরে আমি, অনেক ভেনেজুয়েলানের মতো, আত্মগোপনে ছিলাম নিরাপত্তার স্বার্থে। দুর্ভাগ্যবশত, আজ সেই আত্মগোপনের সমাপ্তি ঘটেছে। আজ থেকে আমিও স্বৈরাচারের হাতে বন্দি হওয়া ভেনেজুয়েলানদের তালিকায় যুক্ত হলাম।”
২০২৪ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে গুয়ানিপা ও অন্যান্য অনেক বিরোধী নেতা আত্মগোপনে ছিলেন, গ্রেপ্তারের আশঙ্কায়। সেই নির্বাচনে নির্বাচন কর্তৃপক্ষ মাদুরোকে টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য বিজয়ী ঘোষণা করে, কিন্তু ফলাফলের সুনির্দিষ্ট ভোটসংখ্যা প্রকাশ করেনি। এদিকে বিরোধী জোট নিজস্ব ভোটকেন্দ্রের হিসাব প্রকাশ করে জানায়, তাদের প্রার্থী এডমুন্ডো গনসালেস বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও নির্বাচনকে স্বচ্ছতার অভাবে সমালোচনা করেছেন।
ভোট-পরবর্তী প্রতিবাদ দমন করতে মাদুরো সরকার ব্যাপক পুলিশি অভিযানে নামে, যাতে প্রায় ২,০০০ জন গ্রেপ্তার হন এবং অন্তত ২৫ জন নিহত হন। বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়, যেগুলো বিরোধীরা ‘মিথ্যা’ এবং ‘দমননীতির প্রমাণ’ হিসেবে দেখছেন।
গুয়ানিপার গ্রেপ্তারের পর মারিয়া কোরিনা মাচাদো এক পোস্টে লিখেছেন, “এটা নিছক রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ।”
বিরোধীরা জানান, এই সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠেয় আঞ্চলিক নির্বাচনের আগেই শুধু গুয়ানিপা নন, আরও কয়েকজন নেতাকেও আটক করা হয়েছে। জাতীয় পরিষদের সদস্য ও প্রাদেশিক পদে নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী নেতারা এই পরিস্থিতিকে ক্ষমতা কুক্ষিগত করার চক্রান্ত বলেই মনে করছেন।
সূত্র - https://www.aljazeera.com/news/farcical-venezuelan-opposition-denounces-arrest-before-weekend-vote
সা/ই