
স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে যখন সফলতার দোরগোড়ায়, তখনই বাধা হয়ে দাঁড়াল ভিসা সংকট! হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রোগ্রাম ফর লিডারশিপ ডেভেলপমেন্টের একমাত্র শেষ মডিউল বাকি। আর এই মুহূর্তেই ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ভারতীয় শিক্ষার্থী শ্রেয়া মিশ্রা রেড্ডি।
৩৩ বছর বয়সী শ্রেয়া বর্তমানে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি ভিসায় কর্মরত একজন টেকনিক্যাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার। ডিউক ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পান তিনি। এরপরই হঠাৎ চোখে পড়ে হার্ভার্ডের বিশেষ লিডারশিপ কোর্সটি, যা মূলত হার্ভার্ডের এক্সিকিউটিভ এমবিএ’র বিকল্প।
কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই আবেদন করেছিলেন, কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। নির্বাচিত হন বিশ্বের সেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। নিজের জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত বলেই স্মরণ করেন সেই দিনটিকে।
নির্বাক করে দিল হঠাৎ পাওয়া খবরটি
প্রায় ৫০,০০০ ডলারের টিউশন ফি লোন নিয়ে যখন শেষ মডিউলের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শ্রেয়া, তখনই মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ভয়াবহ খবর,হার্ভার্ডের ওপর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি নিষেধাজ্ঞা।
শ্রেয়ার ভাষায়, “আমি একটা মিটিং করছিলাম তখন। ফোনে নিউজটা দেখেই কিছুক্ষণের জন্য স্থির হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবতেই পারছিলাম না আমি কি আর বস্টনে যেতে পারব? কোর্সটা শেষ করতে পারব?”
আগামী জুলাইয়ে শুরু হতে যাওয়া শেষ মডিউলের জন্য সব টিকিট, বুকিং সম্পন্ন। কিন্তু এখন সবই অনিশ্চিত। সাথে সাথে বাবাকে টেক্সট করে শ্রেয়া জানান, “আমি জানি না আমি হার্ভার্ড থেকে গ্র্যাজুয়েট হতে পারব কি না।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ, কিন্তু উত্তর নেই এখনো
এই খবর জানার পরপরই হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে ইমেইল করে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন শ্রেয়া। এখনো কোনো উত্তর আসেনি। অথচ কোর্স শুরুর সময় দরজায় কড়া নাড়ছে।
এখন অপেক্ষার পালা। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্ত বদলাবে কি না, কিংবা হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ কোনো সমাধান দিতে পারবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
মিমিয়া