ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের তিন ধাপের হামলা পরিকল্পনা

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৪ মে ২০২৫; আপডেট: ১১:০৩, ২৪ মে ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের তিন ধাপের হামলা পরিকল্পনা

ছবিঃ সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক যুদ্ধের ছায়া। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা এবার রূপ নিতে যাচ্ছে এক ভয়ংকর সামরিক সংঘাতে। জানা গেছে, ইরান প্রস্তুত করছে তাদের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রতিশোধমূলক হামলা— “অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি”। এই অপারেশন হবে পূর্বের সব অভিযান থেকে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী ও কৌশলগতভাবে বিস্তৃত।

বারুদের গন্ধে ভারি ইরানি আকাশ, থমকে আছে সময়। ইরানের শহরগুলোতে এখন অজানা এক আতঙ্ক। আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে যুদ্ধের সম্ভাবনার ছায়া। রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে উচ্চমাত্রায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইসরায়েল সেনাবাহিনী ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে বড় আকারের সংঘাতের জন্য। তবে শুধু ইসরায়েল নয়, ইরানও বসে নেই। তারা মুখোমুখি হতে চলেছে সরাসরি।

অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি: প্রতিশোধের তিন ধাপের মহাযজ্ঞ
বিশ্ব রাজনীতিতে আলোড়ন তোলা এই পরিকল্পনায় ইরান গঠন করেছে তিন ধাপের আক্রমণ কৌশল। জানা গেছে এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হলো ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে ভেঙে ফেলা এবং ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

প্রথম ধাপে ইসরায়েলের এয়ারবেস ও রাডার সিস্টেমে প্রচণ্ড আঘাত হানা হবে। লক্ষ্য থাকবে ফাইটার জেট ঘাঁটি, ড্রোন কন্ট্রোল স্টেশন এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

দ্বিতীয় ধাপে হুথি এবং হিজবুল্লাহ’র সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করবে বলে জানা যায়। সীমান্ত থেকে হিজবুল্লাহ ইতিমধ্যেই শত শত লঞ্চার মোতায়েন করেছে। ইয়েমেন থেকে হুথি বিদ্রোহীরা নিশানা করেছে ইসরায়েলের বিমানবন্দর ও বন্দরনগরীগুলো।

সবশেষে, ইরানের আন্ডারগ্রাউন্ড মিসাইল ঘাঁটি থেকে নিক্ষেপ করা হবে হাইপারসোনিক মিসাইল, যেগুলো বর্তমান বিশ্বের কোনো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়েও আটকানো সম্ভব নয়।

ইরানের নতুন যুক্ত হওয়া হাইপারসোনিক মিসাইলগুলো হয়ে উঠেছে ইসরায়েলের দুঃস্বপ্ন। এগুলো ট্র্যাকিং জ্যাম করতে পারে, গতির কারণে প্রতিরোধ অতিক্রম করে, এবং লক্ষ্যবস্তু নিজেরাই নির্বাচন করতে পারে।

সাথে রয়েছে “কাসেম বাসির” নামে এক নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক মিসাইল। এর নাগাল প্রায় ১২০০ কিলোমিটার, যা ছোড়া মাত্রই শত্রুপক্ষের অবকাঠামো ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এক নতুন ধরনের সামরিক কৌশল নিয়েছে। তারা পাহাড় কেটে এবং মাটির গভীরে গড়ে তুলেছে মিসাইল ঘাঁটি— যা বোমা হামলা সহ্য করার মতো মজবুত এবং যেখান থেকে হামলা ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। এই ঘাঁটিগুলোই হতে চলেছে “অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি”–এর সূচনা বিন্দু।

"অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি" শুধু একটি সামরিক হামলা নয়, বরং এটি হতে যাচ্ছে ইরানের একটি কৌশলগত বার্তা: “আমরা আর পিছিয়ে নেই, এবং প্রতিশোধ আমরা নিতে জানি।” বিশ্বের নজর এখন তেহরান ও তেল আবিবের দিকে। পরবর্তী মুহূর্তে কি ঘটবে, তা হয়তো নির্ধারণ করবে ইতিহাসের নতুন মোড়।


সূত্রঃ https://youtu.be/0Q-MhBxTVCw?si=OK_REhgAuCF5bXnL

নোভা

×