
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় আবারও রক্তাক্ত এক রাত কাটিয়েছে নিরীহ জনগণ। শুক্রবার রাতভর ইসরাইলি বাহিনীর টানা হামলায় আরও ৭৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক। নিহতদের মধ্যে রয়েছে সাতজন শিশু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একে একে উদ্ধার করা হয় মৃতদেহ। আশপাশের এলাকার মানুষ এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, চলমান সংঘাতে উপত্যকায় ইতোমধ্যেই চরম খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার (WFP) তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাতেই দক্ষিণ গাজা থেকে অন্তত ১৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক লুট করে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। ক্ষুধা, হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে উদ্বেগ।
এদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সীমিতভাবে ত্রাণ সরবরাহ শুরু হলেও তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়। জরুরি ভিত্তিতে নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ ও স্থায়ী ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে হবে ইসরাইলকে।”
তিনি আরও বলেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিরাপদ করিডোর নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতি আরও বিপর্যস্ত হয়ে উঠবে।
বিশ্বজুড়ে শান্তিকামী মানুষ ও সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও, ইসরাইলি আগ্রাসনের তাণ্ডব যেন থামার নাম নেই। প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে লাশের সারি। যুদ্ধের থাবায় শিশুদের হাসি হারিয়ে গেছে কান্নায়, ধ্বংসের মুখে মানবতা।
মিমিয়া