
ছবি: সংগৃহীত।
জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া সম্প্রতি একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। ১৮ মে সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের আদেশে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যা মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়, যদিও তিনি দেশে ছিলেন না।
এই গ্রেপ্তারের খবরে দেশজুড়ে শুরু হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং সংবাদমাধ্যমে নুসরাতের মুক্তির দাবিতে প্রবল চাপ তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে, ২০ মে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি, তবে নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে পাশে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এরপর থেকেই তিনি ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। অবশেষে ২৩ মে হঠাৎ এক ফেসবুক পোস্টে জানান, তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। ফারিয়া লেখেন, "গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফোন ব্যবহারসহ সব ধরনের যোগাযোগ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। কারও সঙ্গে কথা বলতে না পারার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।"
তিনি আরও লেখেন, "গত কয়েকদিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। তবে সবার ভালোবাসা ও সমর্থন আমাকে নতুন করে সাহস জুগিয়েছে।"
নুসরাত ফারিয়া সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, "আপনাদের মানবিকতা ও ইতিবাচক ভূমিকা এই দুঃসময়ে আমার জন্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনুপ্রেরণাদায়ক।"
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় এনামুল হক নামে একজন গুলিবিদ্ধ হন। চলতি বছরের ৩ মে সেই ঘটনায় দায়ের করা ২৮৩ জনের নালিশি মামলার তালিকায় উঠে আসে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ার নাম।
নুসরাত