
ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশের ফ্যাশন অঙ্গনের অন্যতম আলোচিত নাম এখন আসমা উল হুসনা বৃষ্টি। সম্প্রতি জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি যা মুক্তি পাচ্ছে এই ঈদে ।
কালো বর্ণের এই মেয়েটি শুধু অভিনয় নয়—নিজের জীবনের সাহসী পথচলার গল্প শেয়ার করে ভেঙে দিয়েছেন সমাজের গড়পড়তা সৌন্দর্যবোধের মানদণ্ড।
এক সাক্ষাৎকারে বৃষ্টি বলেন, "আমি নিজেকে সুন্দর ভাবতাম, কিন্তু সেটা কখনো বলার সাহস হতো না। কারও কাছে বলতে পারতাম না, ‘আমার একটা ছবি তুলে দাও।’ ভয় ছিল মানুষ হাসবে। এটা খুবই ‘নরমাল’ একটা ভয়।”
বৃষ্টি জানান, সেই সময় থেকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে তাকে অসংখ্য বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে। “আজ বাংলাদেশের সেরা ফটোগ্রাফাররা আমার ছবি তোলে। এটা আমার জন্য সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। প্রতিটি ছবি আমাকে এনার্জি দেয়, সাহস দেয়—আমি এই সমাজে ‘বিলং’ করি।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে স্কিন কালার এখনো একটা হিউজ ইস্যু। মানুষ খুব একটা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। আমি সম্মান করি—সবাই যেন আমাকে স্বাভাবিকভাবেই নিতে বলছি না। কিন্তু যারা পারে, তারা অন্তত এটাকে স্বাভাবিকভাবে নিক।”
বৃষ্টি আরও বলেন, “এটা আমার হিউম্যান রাইটস—নিজেকে প্রকাশ করার, নিজের গল্প বলার। আমি কোনো সহানুভূতি চাই না কারও কাছ থেকে এই জন্য যে আমি ডার্ক স্কিন বা একটা কালো মেয়ে। আমি কখনোই সেই সহানুভূতি নিই না মানুষের কাছ থেকে।”
নিজের কাজ নিয়ে বৃষ্টি বলেন, আমি সবসময় চাই মানুষ আমাকে আমার কন্ট্রিবিউশনের জন্য চিনুক। কারণ আমি অনেক স্ট্রাগল করেছি।
বৃষ্টির এই সাহসী উচ্চারণ শুধু নিজের গল্প বলাই নয়, বরং হাজারো তরুণ-তরুণীর জন্য এক অনুপ্রেরণা। সমাজের প্রচলিত সৌন্দর্যের সংজ্ঞাকে ভেঙে দিয়ে তিনি বারবার প্রমাণ করছেন—সুন্দরতা গায়ের রঙে নয়, চরিত্র ও চেতনায়।
সূত্র - https://www.facebook.com/share/r/1Ad8UacoC4/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
সা/ই