ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মিশিগানে প্রবাসীদের প্রত্যাশিত শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে 

যুক্তরাষ্ট্র (মিশিগান) থেকে

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ১ জুন ২০২৩

মিশিগানে প্রবাসীদের প্রত্যাশিত শহীদ মিনার নির্মাণ হচ্ছে 

সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্যরা।

‘মোদের গৌরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা’ হৃদয়ে মাতৃভাষার এমন ভালোবাসার টান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান প্রবাসী বাংলাদেশিরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন হয়তো তাদের কাঙ্খিত একটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার পাবেন। আর এই মিনারেই প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমেরিকান-সহ অন্যান্য ভিনদেশীয়দের নিয়ে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত করে স্মরণ করবেন ভাষার জন্য আত্মত্যাগদানকারী সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মতো নাম না জানা অনেক শহীদদের। 

বিশ্বের মানুষের কাছে আরো ভালোভাবে ছড়িয়ে দেবেন পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্টতম ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনের প্রেক্ষাপট। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার না থাকায় মিশিগানে বসবাসরত বাংলাদেশিরা এতোদিন অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে নানা স্থানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে আসছিলেন। অবশেষে সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি মূল্যায়ণ ও আন্তরিক উদ্দ্যোগ নিয়ে আগামী  বছরের ২১ ফেব্রুয়ারির আগেই মিশিগানের হেমট্রামিক সিটি কাউন্সিল অফিস সম্মুখস্থ বরাদ্ধকৃত স্থানে একটি পূর্ণাঙ্গ শহীদ মিনার স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সংশ্লিষ্ট সিটি কাউন্সিলের নব গঠিত শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি।

দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় সংশ্লিষ্ট কমিটির পক্ষ থেকে হেমট্রামিক এলাকাস্থ মদিনা রেস্টুরেন্ট হল রুমে ডাকা এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।  এতে সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট সিটি কাউন্সিলর ও কমিটির সভাপতি মুহিত মাহমুদ। 

বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আবু মুসা, প্রো-মটেম ও কমিটির সদস্য কাউন্সিলর কামরুল হাসান ও কাউন্সিলর নাঈম লিওন চৌধুরী।

সাংবাদিক সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দ শহীদ মিনার এতোদিন নির্মাণ না হওয়া, অর্থনৈতিক ফান্ড নিয়ে টানা হেচড়া, দ্বন্দ্ব-সহ সার্বিক প্রেক্ষাপট নিজ নিজ অবস্থান থেকে তুলে ধরেন। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, কমিউনিটিভুক্ত বহু প্রবাসীদের অনুরোধে এবং তাদের চিন্তা ভাবনা ও দায়িত্ববোধ থেকেই দেরিতে হলেও অবশেষে শহীদ মিনার নির্মাণ করে একটি উপহার দিতে চাচ্ছেন প্রবাসী মিশিগানবাসী বাংলাদেশিদেরকে। 

তারা বলেন, ফান্ড রাইজিংয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না। তবে এখন পর্যন্ত শহীদ মিনার নির্মাণ সংক্রান্ত একাউন্টে মাত্র ৬৫০ ডলার আছে। এই মিনার নির্মাণ করতে অর্থ যা লাগবে তাই কমিটির মাধ্যমে ব্যয় করা হবে। বহু প্রবাসী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এবার শহীদ মিনার নির্মাণ হবেই। এই মিনার নিয়ে যেন আর কোনো অপপ্রচার বা বিশৃঙ্খলা না হয়। আমেরিকার মিশিগানে এই শহীদ মিনার স্থাপনের মাধ্যমে মায়ের বাংলা ভাষা কে আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করা হবে।

এমএইচ

×