
ছবি : সংগৃহীত
দিনভর অফিস, চাপের মাঝে কিছুটা প্রশান্তির খোঁজে অনেকেই চা আর সিগারেটের যুগলবন্দিতে স্বস্তি খোঁজেন। কেউ কেউ বলেন—‘এক কাপ চা আর একটা সুখটান না হলে মাথা কাজ করে না!’ কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এই স্বস্তিই আসলে শরীরের জন্য হতে পারে মরণফাঁদ!
বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ের ক্যাফেইন এবং সিগারেটের নিকোটিন একসঙ্গে শরীরের ভেতরে মারাত্মক রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা শরীরের একাধিক অঙ্গের উপর ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। তাঁদের ভাষায়, "চা খেতে খেতে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ধীরে ধীরে দেহে সিঁধ কাটে, যা একাধিক মারাত্মক রোগের জন্ম দেয়।"
🔴 চা ও সিগারেট একসঙ্গে খাওয়ার ফলে যে ভয়ংকর রোগ হতে পারে—
✔️ খাদ্যনালি ক্যান্সার
গরম চায়ের তাপ ও সিগারেটের বিষাক্ত রাসায়নিক খাদ্যনালির কোষে মারাত্মক ক্ষতি করে, বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি।
✔️ ফুসফুসের ক্যান্সার
সিগারেটের ধোঁয়া ও চায়ের যুগলবন্দি ফুসফুসে আরও বেশি পরিমাণে কার্সিনোজেন জমা করে। বাড়ে ফুসফুস ক্যান্সারের আশঙ্কা।
✔️ গলার ক্যান্সার
গরম চা ও ধোঁয়ার মিশেলে গলার কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন এমন চললে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।
✔️ হৃদ্রোগ ও হার্ট অ্যাটাক
চায়ের ক্যাফেইন ও সিগারেটের নিকোটিন মিলে রক্তনালীতে সংকোচন ঘটায়। ব্যাঘাত ঘটে রক্ত চলাচলে। এর ফলেই বেড়ে যায় হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা।
✔️ বন্ধ্যাত্ব ও যৌনক্ষমতার অবনতি
চা-সিগারেটের অভ্যাস শুক্রাণু উৎপাদন কমিয়ে দেয়, কমায় যৌনক্ষমতা।
✔️ পাকস্থলীর আলসার
চায়ের অতিরিক্ত অ্যাসিড ও সিগারেটের বিষ পাকস্থলীতে ক্ষতের সৃষ্টি করে, বাড়ায় আলসারের ঝুঁকি।
✔️ স্মৃতিভ্রংশ
এই অভ্যাস স্নায়ুতন্ত্রের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করে, যার ফলে স্মৃতি দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
✔️ স্ট্রোকের ঝুঁকি
রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বহুগুণে বেড়ে যায়।
✔️ হজমশক্তি দুর্বল হয়
চা ও সিগারেট মিলে পাকস্থলীতে গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রবণতা বাড়ায়। যাঁদের আগে থেকেই আইবিএস বা আইবিডির মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক।
কোনোভাবেই চায়ের সঙ্গে সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। প্রতিদিনের এমন ‘আরামের ক্ষণ’ই পরিণত হতে পারে জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নে।
🛑 চা হোক প্রশান্তির, না যে মৃত্যুর কারণ— সচেতন হোন এখনই!
Mily