ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০২ আগস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২

বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস বাড়ছে রোগবালাই, করণীয় কী?

প্রকাশিত: ২২:৩৬, ২৪ জুলাই ২০২৫

বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস বাড়ছে রোগবালাই, করণীয় কী?

প্রতিদিনই কখনও রোদ, কখনও ঝমঝম বৃষ্টি—আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা থেকে রেহাই নেই। বৃষ্টি হলেও গরম কমছে না, উল্টে আর্দ্রতা আরও বাড়ছে। ফলে অনেকেই ভোগছেন মাথা ঘোরা, গা গোলানো, অজীর্ণ ও শরীরের অস্বস্তির মতো সমস্যায়। তাই এই সময়টাতে শরীরকে ঠান্ডা রাখা ও হজম ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি।

চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ভ্যাপসা গরমে কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেখে নিন, কোন নিয়মগুলো এখনই মেনে চলা উচিত—


✅ ১. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান

এই সময়ের জন্য আদর্শ হল ঘরে রান্না করা সহজপাচ্য খাবার। পাতে রাখুন জলসমৃদ্ধ সবজি যেমন: পটল, ঝিঙে, লাউ। খাবারের শুরুতে অল্প ঘি খেতে পারেন, যা হজমে সহায়ক।


✅ ২. শরীর আর্দ্র রাখুন ডাবের জল দিয়ে

পর্যাপ্ত ডাবের জল খান, তবে বাজারের তৈরি লস্যি বা রাস্তার ফলের রস এড়িয়ে চলুন। চাইলে বাড়িতেই তৈরি করুন ফ্রুট জুস বা লেবু-চিনি-লবণের শরবত।


✅ ৩. রোদ থেকে ফিরে সরাসরি ঠান্ডা খাবেন না

বাইরে থেকে ফিরে একটু সময় দিন শরীর ঠান্ডা হতে। তারপর লেবু ও বিটনুন মেশানো শরবত খেলে শরীরও ঠান্ডা থাকবে, হজমও ভালো হবে।


✅ ৪. দই রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়

🔹 দই দিয়ে তৈরি ঘোল, দই-চিঁড়ে বা স্মুদি শরীর ঠান্ডা রাখে।

🔹 দুপুরে খাওয়ার পরে টক দই বা দই-ভাত খেতে পারেন।

 

✅ ৫. তরমুজের শরবত: হাইড্রেশন ও ঠান্ডার জুটি

তরমুজ বেটে তার সঙ্গে জল ও মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে অল্প বরফ দিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারেন। এই পানীয় তৃষ্ণা মেটায়, জ্বর-জারির সম্ভাবনাও কমায়।


✅ ৬. রায়তায় আনুন বৈচিত্র্য

🔹 শসা দিয়ে তো রায়তা হয়ই, এবার লাউয়ের রায়তা ট্রাই করুন:

🔹 ঝিরঝির করে কুচোনো লাউ সামান্য ভাপে সেদ্ধ করে নিন।

🔹 ঠান্ডা করে টক দইয়ের সঙ্গে মেশান।

🔹 উপর থেকে দিন বিট নুন, জিরে গুঁড়ো, পুদিনা ও কাঁচা লঙ্কা কুচি।

 

সতর্কতা:

🔹 ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা অতিরিক্ত বরফ খাওয়া এড়িয়ে চলুন

🔹 বৃষ্টির জল বা ভেজা পোশাকে বেশি সময় থাকা ঠিক নয়

🔹 পেট গরম বা বদহজম হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন

 

এই সময়টিতে শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখা মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। তাই খাবারে ও অভ্যাসে হালকা থাকুন, সুস্থ থাকুন। 

Mily

×