
প্রতিদিনই কখনও রোদ, কখনও ঝমঝম বৃষ্টি—আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা থেকে রেহাই নেই। বৃষ্টি হলেও গরম কমছে না, উল্টে আর্দ্রতা আরও বাড়ছে। ফলে অনেকেই ভোগছেন মাথা ঘোরা, গা গোলানো, অজীর্ণ ও শরীরের অস্বস্তির মতো সমস্যায়। তাই এই সময়টাতে শরীরকে ঠান্ডা রাখা ও হজম ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি।
চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ভ্যাপসা গরমে কিছু সহজ পদ্ধতি মেনে চললেই মিলতে পারে স্বস্তি। দেখে নিন, কোন নিয়মগুলো এখনই মেনে চলা উচিত—
✅ ১. হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান
এই সময়ের জন্য আদর্শ হল ঘরে রান্না করা সহজপাচ্য খাবার। পাতে রাখুন জলসমৃদ্ধ সবজি যেমন: পটল, ঝিঙে, লাউ। খাবারের শুরুতে অল্প ঘি খেতে পারেন, যা হজমে সহায়ক।
✅ ২. শরীর আর্দ্র রাখুন ডাবের জল দিয়ে
পর্যাপ্ত ডাবের জল খান, তবে বাজারের তৈরি লস্যি বা রাস্তার ফলের রস এড়িয়ে চলুন। চাইলে বাড়িতেই তৈরি করুন ফ্রুট জুস বা লেবু-চিনি-লবণের শরবত।
✅ ৩. রোদ থেকে ফিরে সরাসরি ঠান্ডা খাবেন না
বাইরে থেকে ফিরে একটু সময় দিন শরীর ঠান্ডা হতে। তারপর লেবু ও বিটনুন মেশানো শরবত খেলে শরীরও ঠান্ডা থাকবে, হজমও ভালো হবে।
✅ ৪. দই রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়
🔹 দই দিয়ে তৈরি ঘোল, দই-চিঁড়ে বা স্মুদি শরীর ঠান্ডা রাখে।
🔹 দুপুরে খাওয়ার পরে টক দই বা দই-ভাত খেতে পারেন।
✅ ৫. তরমুজের শরবত: হাইড্রেশন ও ঠান্ডার জুটি
তরমুজ বেটে তার সঙ্গে জল ও মধু মিশিয়ে নিন। চাইলে অল্প বরফ দিয়ে ঠান্ডা করে খেতে পারেন। এই পানীয় তৃষ্ণা মেটায়, জ্বর-জারির সম্ভাবনাও কমায়।
✅ ৬. রায়তায় আনুন বৈচিত্র্য
🔹 শসা দিয়ে তো রায়তা হয়ই, এবার লাউয়ের রায়তা ট্রাই করুন:
🔹 ঝিরঝির করে কুচোনো লাউ সামান্য ভাপে সেদ্ধ করে নিন।
🔹 ঠান্ডা করে টক দইয়ের সঙ্গে মেশান।
🔹 উপর থেকে দিন বিট নুন, জিরে গুঁড়ো, পুদিনা ও কাঁচা লঙ্কা কুচি।
সতর্কতা:
🔹 ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বা অতিরিক্ত বরফ খাওয়া এড়িয়ে চলুন
🔹 বৃষ্টির জল বা ভেজা পোশাকে বেশি সময় থাকা ঠিক নয়
🔹 পেট গরম বা বদহজম হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
এই সময়টিতে শরীর ও পেট ঠান্ডা রাখা মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। তাই খাবারে ও অভ্যাসে হালকা থাকুন, সুস্থ থাকুন।
Mily