
সংগৃহীত প্রতীকী ছবি
হার্ট অ্যাটাককে বলা হয় 'নীরব ঘাতক' - এটি যে কোনো সময়, যে কারও জীবন কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু শরীর কিন্তু আগে থেকেই সংকেত দিতে থাকে। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মাত্র ৫টি লক্ষণ চিনে রাখলেই আপনি প্রাণঘাতী হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। আর এই ঝুঁকি কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে ভূমধ্যসাগরীয় ও ড্যাশ ডায়েট নামের দুই ধরনের খাদ্যাভ্যাস।
হার্ট অ্যাটাকের ৫টি সতর্ক সংকেত:
১. বুকে অস্বস্তি বা চাপ: বুকের মাঝখানে চাপ লাগা, ব্যথা বা জ্বালাপোড়া যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়। অনেকেই এটিকে গ্যাসের সমস্যা ভেবে ভুল করেন।
২. শ্বাসকষ্ট: হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বিশেষ করে কোনো শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই।
৩. বাম হাত, পিঠ বা চোয়ালে ব্যথা: হার্ট অ্যাটাকের ব্যথা প্রায়ই বাম হাতে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে পিঠের উপরের অংশে বা চোয়ালেও ব্যথা হতে পারে।
৪. ঠাণ্ডা ঘাম ও বমি বমি ভাব: প্রচণ্ড ঘাম হওয়া, বিশেষ করে যদি তা বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরার সঙ্গে আসে।
৫. অস্বাভাবিক ক্লান্তি: কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত দুর্বলতা বা ক্লান্তি, বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।
হার্টের জন্য সেরা ২টি ডায়েট:
১. ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েট: এই ডায়েটে থাকে অলিভ অয়েল, তাজা ফলমূল, শাকসবজি, মাছ, বাদাম ও গোটা শস্য। গবেষণায় দেখা গেছে, এই খাদ্যাভ্যাস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি প্রায় ৩০% কমিয়ে দেয়।
২. ড্যাশ ডায়েট: উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই ডায়েটে থাকে কম সোডিয়ামযুক্ত খাবার, কম ফ্যাটযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, শাকসবজি ও ফল। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
কার্ডিওলজিস্ট ডা. রাজীব গুপ্ত বলেন, "এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রতিরোধই সর্বোত্তম চিকিৎসা - আর সেজন্য ভূমধ্যসাগরীয় বা ড্যাশ ডায়েট অনুসরণ করা যেতে পারে।"
হার্ট অ্যাটাকের ৫০% এর বেশি ক্ষেত্রেই রোগীরা প্রথম ৩-৪ ঘণ্টা চিকিৎসা নেন না, যা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই এই সতর্ক সংকেতগুলো চিনে রাখা এবং স্বাস্থ্যকর ডায়েট মেনে চলাই পারে আপনার প্রিয়জনের জীবন বাঁচানোর হাতিয়ার। মনে রাখবেন, হার্টের যত্ন নেওয়া মানে শুধু নিজের নয়, পরিবারের সবার ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করা। তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
সাব্বির