
ছবি: সংগৃহীত
সকালের নাশতার তালিকায় সেদ্ধ ডিম রাখেন? তবে জেনে রাখুন—এটি শুধু সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য নয়, বরং স্বাস্থ্যকরও। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেদ্ধ ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কেন সেদ্ধ ডিম স্বাস্থ্যকর?
যুক্তরাষ্ট্রের ইউআই হেলথ বারিয়াট্রিক সার্জারি প্রোগ্রামের ডায়েট বিশেষজ্ঞ জেরেমি ও’নিল জানান, সেদ্ধ ডিমে কোনো তেল বা চর্বি যোগ না করেই রান্না করা যায়, ফলে এটি সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ডিম খাওয়ার উপায়গুলোর একটি।
কী কী পুষ্টিগুণ আছে?
একটি বড় সেদ্ধ ডিমে রয়েছে:
- ৭২ ক্যালরি
- প্রায় ৬-৭ গ্রাম প্রোটিন
- প্রায় ৫ গ্রাম ফ্যাট (১.৫ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট)
- প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি, রিবোফ্লাভিন, ফলেট, আয়রন ও জিংক
- ডিমের কুসুমে রয়েছে choline, একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা গর্ভাবস্থায় শিশুদের স্নায়বিক গঠনে এবং প্রবীণদের মানসিক সতেজতায় সহায়তা করে।
কতটা প্রোটিন পাওয়া যায়?
প্রতিটি বড় ডিমে ৬-৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। যদিও কেবল ডিম খেয়ে দৈনিক প্রোটিন চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়, তবে এটি একটি দারুণ প্রোটিন উৎস।
আপনার শরীরের ওজন ও শারীরিক পরিশ্রমের মাত্রার উপর নির্ভর করে দৈনিক প্রোটিন চাহিদা নির্ধারিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, ৮০ কেজি ওজনের ব্যক্তির প্রতিদিন কমপক্ষে ৬৫ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত।
প্রতিদিন কয়টা ডিম খাওয়া নিরাপদ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি ভারসাম্যপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ করেন তবে প্রতিদিন ২-৩টি সেদ্ধ ডিম খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।
উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে কি খাওয়া উচিত?
অনেকেই মনে করেন ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায়। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ডিমে থাকা খাদ্য কোলেস্টেরল ও রক্তের কোলেস্টেরলের মধ্যে সরাসরি কোনো সম্পর্ক এখনো প্রমাণিত হয়নি। বরং, ডিমে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম হওয়ায় এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া নিরাপদ, এমনকি উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলেও।
যদি আপনার কোলেস্টেরল সমস্যা থাকে, তবে ডিম বাদ না দিয়ে মোট খাদ্য তালিকায় স্যাচুরেটেড ফ্যাট কমানোর দিকে মনোযোগ দিন—যেমন রেড মিট কমিয়ে, প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে, সবজি বেশি করে খাওয়া। ডিম তখনও একটি উপকারী প্রোটিন উৎস হতে পারে।
ডিমকে ঘিরে বহু বিভ্রান্তি থাকলেও, সঠিক মাত্রায় খেলে এটি শরীরের জন্য উপকারী। তবে যেকোনো ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাদ্য তালিকা গঠন করা উচিত।
মুমু ২