ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্থিসন্ধির বাতের ব্যথায়

ডা. এম এন ইসলাম

প্রকাশিত: ০০:৪৪, ১৪ মার্চ ২০২৩

অস্থিসন্ধির বাতের ব্যথায়

শীতে অস্থিসন্ধির বাত ব্যথায় সাধারণত হাত-পা প্রথমে আক্রান্ত হয়

শীতে অস্থিসন্ধির বাত ব্যথায় সাধারণত হাত-পা প্রথমে আক্রান্ত হয়। পরে হাঁটু, কনুইসহ অন্যান্য অঙ্গ আক্রান্ত হয়। এ রোগের সঠিক কারণ জানা যায় না। তবে ঠান্ডা, স্যাঁতসেঁতে স্থানে বসবাস; দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতা; অতিরিক্ত কায়িক পরিশ্রম; সন্ধিতে ইউরেট অব সোডা সঞ্চিত হওয়া; দীর্ঘদিন ধরে দাঁত ও মাড়ির রোগ, প্রমেহ, শ্বেতপ্রদর থাকলে; অতিরিক্ত মদ ও প্রোটিন গ্রহণ করলে সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। চল্লিশোর্ধ্ব পুরুষের তুলনায় এ রোগ নারীর বেশি হয়।

অস্থিসন্ধি বাত রোগে শারীরিক পরিবর্তন, দৈহিক বিকৃতি ও উপসর্গগুলো হলো- দুর্বলতা, অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা, হাত-পায়ে ব্যথা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া, আঙুলের ছোট ছোট সন্ধি, কব্জি, পায়ের গোড়ালি এবং মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভূত হওয়া, জ্বরসহ আক্রান্ত সন্ধি লাল, সন্ধিস্থল স্ফীত, শক্ত ও নড়াচড়ায় শব্দ, পারিপার্শ্বিক পেশিগুলোর শীর্ণতা, বিকৃত অবস্থা এবং পেশিবন্ধনী স্ফীত দেখা যায়। রক্তস্বল্পতা, রক্তে শ্বেতকণিকার বৃদ্ধি এবং অ্যালবুমিন হ্রাস পায়।

রক্ত চলাচলকারী নালিতে প্রদাহের কারণে হাতের আঙুলের ডগায় বেদনাযুক্ত দাগ দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী পক্ষাঘাত হয়। ফুসফুসের কোষ আবরণে প্রদাহের কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। চোখের গোলায় প্রদাহের কারণে দেখতে ব্যাঘাত ঘটে। সন্ধিবাতে দীর্ঘদিন ভুগলে শারীরিক বিকৃতি ঘটে। আক্রান্ত সন্ধির বন্ধনী, সাইনোভিয়াল ঝিল্লি এবং অস্থিগুলো শীর্ণ অথবা বর্ধিত হতে পারে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। শক্ত বিছানায় ঘুমানো, শরীরচর্চা, রক্তস্বল্পতা দূরীকরণসহ লক্ষণ অনুযায়ী হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনে এ রোগ থেকে আরোগ্য লাভ করা যায়।
পরামর্শ : অন্যান্য চিকিৎসার পাশাপাশি আপনি লক্ষণভিত্তিক চিকিৎসা গ্রহণ করে স্থায়ীভাবে শারীরিক সমস্যা পেতে পারেন।

লেখক : সিনিয়র কনসালট্যান্ট), ডাঃ এম এন ইসলাম মেডিকেল সেন্টার। (৩ তলা)
এইচ ২৩, আমতলী, মহাখালী, এয়ারপোর্ট রোড, ঢাকা। ০১৭৫২-১১-৭১-৬১
০১৯৭০-৫৫-৫৯-১৯

×